সোনারগাঁয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তকে গণপিটুনি
Published: 14th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজারের রংপুর গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্তকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই বাড়ির পাশের রুমেই ভাড়া থাকত অভিযুক্ত যুবক। শিশুটির বাব-মা দুজনে গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে মেয়েকে পাশের বাসার এক নারীর কাছে রেখে যান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির উঠানে বাচ্চাটি খেলাধুলা করার সময়ে তাকে একা পেয়ে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। বিষয়টি ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দেখে ফেলায় বাচ্চাটি রক্ষা পায়। পরবর্তীতে শিশুর বাবা-মা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে এমন খবর জানতে পেরে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করে।
সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেন বলেন, বাচ্চার বাবা-মা কাজ শেষে বাসায় ফিরে আসার পর তাদের কাছে বিষয়টি ওই শিশু জানায়। পরে বাবা-মা অভিযুক্তকে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। এবং এ যাত্রায় তাকে ক্ষমা করে দিতে বলেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার এ ঘটনা সম্পর্কে বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়দের জানালে তারা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণপ ট ন স ন রগ ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার
আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে দায়েরকৃত মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জালাল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের সখেরগাঁও গ্রামে ঘটে। তবে ধর্ষণের আগে প্রেম হয় বাদী ও এক বিবাদীর। সেই ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে ব্লাকমেইল করে চলে একাধিকবার ধর্ষণ।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরআগে বুধবার রাতে ভিকটিম (৩৫) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আড়াইহাজারের সাতগাঁও ইউনিয়নের সখের গাওঁ গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. জালাল হোসেন (৪০), সেলিম (৪২) ও জামালের ছেলে মো. সোহেল (৩৫)। পুলিশ প্রধান আসামি জালাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, আসামি জালাল বাদীর স্বামীর চাচাতো ভাই। ২০২৪ সালে পারিবারিক কলহের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাদীর স্বামীকে প্রধান আসামি করে ভয়ভীতি দেখায় আসামি জালাল।
এ সময় মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোনে কথা বলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ফোনে কথা বলতে বলতে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
ঘটনার এক পর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফাঁকা পেয়ে বাদীকে ধর্ষণ করে জালাল। পরবর্তীতে আবারও মামলা খারিজের কথা বলে নরসিংদীর হোটেল রিল্যাক্সে নিয়ে যায় এবং পুনরায় ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিও বাকি আসামিদের সরবরাহ করে এবং তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে এবং বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে।
এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে পুনরায় বাদীকে ধর্ষণ করে আসামি। এক পর্যায়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা না করার শর্তে স্ট্যাম্প পেপারে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেয় আসামিরা। পরবর্তীতে পুনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি প্রচার করতে থাকলে থানায় মামলা করেন তিনি।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।