সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘মনে যদি পুলিশ থাকে, তাহলে বাইরে লাগবে কেন?’ লালন শাহের স্মরণোৎসব উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করে।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘লালন আমাদের গঠন করতে চেয়েছিলেন। নতুন ধরনের সমাজ গড়ার কথা বলেছেন। নতুন রাষ্ট্র বানানোর কথা বলেছেন। এমন সমাজের স্বপ্ন দেখেছেন, যেখানে পুলিশ লাগে না।’ এর পরও পুলিশ থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আপনার মনে পুলিশ নাই। আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। আপনি উচ্ছৃঙ্খল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা গুরুবাদী ধর্ম। গুরুবাদী মানে, তারা শুধু জীবন্ত মানুষের ভজন করে। গুরু আপনাকে যেটা করতে বলেছেন, এটা করবেন। আপনার গুরু আপনাকে যে মন্ত্র দিয়েছেন, সেই মন্ত্রে চলবেন। এটাকে লালনবাদ বানাবেন না।’

জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো.

তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মিকাইল ইসলাম।

জানা গেছে, দোলপূর্ণিমার রাতে শিষ্যদের নিয়ে কালীগঙ্গার ধারে সাধুসংঘে বসতেন লালন শাহ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর ফাল্গুনে আখড়াবাড়িতে দোলপূর্ণিমা বা স্মরণোৎসব করা হয়। তিন দিন হলেও এবার এক দিনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। আলোচনা ও বাউলদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হবে আয়োজন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফরহ দ মজহ র বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষ্ণাকে ছাড়াই ভুটান গেলেন ৫ নারী ফুটবলার

সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ার পর ভুটানের ফুটবল লিগে খেলতে গেলেন আরও পাঁচ নারী ফুটবলার। আজ সকালে তাঁরা থিম্পুর উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।

এই পাঁচজন হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মাসুরা পারভীন ও রুপনা চাকমা। তাঁদের সঙ্গে ভুটান যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট হাতে না পাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ল কৃষ্ণা রানীর। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেছে।

আরও পড়ুনভুটানের লিগে খেলতে যাচ্ছেন কৃষ্ণা–সানজিদাসহ আরও চার ফুটবলার০৮ এপ্রিল ২০২৫

৬ এপ্রিল ভুটান যাওয়া সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া ও মনিকা খেলবেন ভুটানের ক্লাব পারো এফসির হয়ে। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ডিফেন্ডার মাসুরা ও গোলকিপার রুপনাকে। ফরোয়ার্ড কৃষ্ণার একই দলের হয়ে খেলার কথা রয়েছে। আর থিম্পু সিটির হয়ে খেলবেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার।

বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন নয়। এর আগে মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া নারী লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে সানজিদা আক্তারের।

আরও পড়ুনঅনুশীলনে ফিরেও দুশ্চিন্তায় বিদ্রোহীরা০৮ এপ্রিল ২০২৫

এরপর গত বছরের আগস্টে ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলতে যান বাংলাদেশের চার ফুটবলার সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা। তখন এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য তাঁদের নিয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি।

১৫ এপ্রিল ভুটানের নারী লিগ শুরু হওয়ার কথা। এই লিগ প্রায় ছয় মাস চলে। ভুটানের লিগ চলাকালে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেলে তাঁরা ঢাকায় ফিরে আসবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ