রাজধানীর রমনা পার্ক। পার্কের শিশুচত্বরের স্লিপার বেয়ে নামতে চেষ্টা করছিল ছোট্ট এক মেয়েশিশু। পরনে আকাশি রঙের জামা। ভারসাম্য ঠিক রাখতে স্লিপারের দুপাশ থেকে সন্তানের দুই হাত ধরে রেখেছিলেন মা ও বাবা। শিশুটির নাম আরশী খন্দকার।

বৃহস্পতিবার আরশীর জন্মদিন। তিন বছর পূর্ণ হয়েছে তার। জন্মদিনে ঘুম ভাঙতেই আড়মোড়া ভেঙে বিছানায় শুয়ে শুয়ে বলেছে, ‘আজ তো একটু রমনা পার্কেও যেতে পারতাম।’ জন্মদিনে একমাত্র সন্তানের আবদার মেটাতে তাই পার্কের শিশুচত্বরে ছুটে এসেছেন মা–বাবা।

মা সামিয়া ইয়াসমিন আরশীকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বললেন, তাঁর এই ছোট্ট মেয়েকে সপ্তাহে অন্তত একদিন রমনা পার্ক বা অন্য কোনো খোলা জায়গায় নিয়ে যেতে হয়। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা খন্দকার রবিউল ইসলাম। তিনি এগিয়ে এসে জানালেন, তাঁর সন্তানটি গাছ ভালোবাসে। বাসার ছাদের গাছে পানি দেয় সে।

জন্মদিনে সন্তান আরশীকে নিয়ে মা–বাবা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে নানা আয়োজনে বর্ষরবণ

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করতে দিনব্যাপী নানা আযোজন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।

সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার চত্বরে স্বাধীনতা মঞ্চে সংগীত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার। সংস্থাটির আয়োজনে মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, ফলাহারসহ ছিল নানা আয়োজন। সকাল ৮টায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

আনন্দ শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় অম্বিকা ময়দানে নববর্ষের মিলনমেলায় সমবেত হয়। ফরিদপুরের সকল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের কর্মীদের নিয়ে সেখানে অংশ নেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও শহরের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন আনন্দ শোভাযাত্রায়।

অম্বিকা ময়দানের বর্ষবরণ মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ কামরুল হাসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ষরবণ উৎসবে আগত সকলকে আপ্যায়িত করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ