Samakal:
2025-04-15@15:56:45 GMT

ইফতারের রাজনৈতিক অর্থনীতি

Published: 13th, March 2025 GMT

ইফতারের রাজনৈতিক অর্থনীতি

রাজনৈতিক দলগুলো ইফতার মাহফিলের নামে মূলত সমাবেশের আয়োজন করছে। এটিকে বলা যায় ইফতার রাজনীতি। আয়োজক দল সাধারণত সমমনাদের দাওয়াত দিয়ে থাকে। তবে সৌজন্যের খাতিরে প্রতিপক্ষকে দাওয়াত দিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমন্ত্রিতদের হাজির হতে দেখা যায় না। যেমন গত ৪ মার্চ রাজনীতিক ও কূটনীতিকদের সম্মানে জাতীয় পার্টির ইফতার আয়োজনে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলের নেতারা যাননি।

এ বছর অবশ্য ইফতার ঘিরে রাজনীতি বেশিই জমে উঠেছে। যেমন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঘোষণা দিয়েছিলেন– ‘আল্লাহ যদি আমাকে বেহেশতেও নিতে চান, আমি জামায়াতের সঙ্গে বেহেশতে যাব না। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। যুদ্ধের সময় মা-বোনের ইজ্জত হরণ করতে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছে। জামায়াত ছাড়া কারও সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই’। ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া হাজী হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাঁর এই ঘোষণা সে সময় সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট আলোচিত হয়েছিল। আদতে দেখা গেল, গত ৮ মার্চ (২০২৫) টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী জামায়াত প্রসঙ্গে আরও বলেছিলেন, জামায়াত জাতির কাছে মাফ চাক, ভুল স্বীকার করুক, তারপর রাজপথে আসুক। জামায়াতে ইসলামী একাত্তরের ভূমিকার জন্য মাফ চেয়েছে– এমন খবর আমাদের জানা নেই। কাদের সিদ্দিকীর কাছে গোপনে মাফ চেয়েছে বলে কি আমরা ধরে নেব? মাফ না চাইলেও কাদের সিদ্দিকী জামায়াতের ইফতার অনুষ্ঠানে কেন হাজির হলেন? 
জামায়াতের ইফতারে কাদের সিদ্দিকীর অংশগ্রহণ যদি নিরেট রাজনৈতিক হয়, নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ইফতার ইস্যুটি তাহলে সম্ভবত রাজনৈতিক অর্থনীতি। মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এনসিপি। রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষকে নিয়ে এনসিপি এই ইফতার পার্টির আয়োজন করে। পাঁচতারকা হোটেলে নতুন দল, যেটির এখনও নিবন্ধন হয়নি; এমন রাজনৈতিক দলের পক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার আয়োজন চমকিত হওয়ার মতোই ঘটনা। 
প্রশ্ন জাগে, এ রাজনৈতিক দলের অর্থের উৎস কোথায়? অবশ্য এনসিপি দলীয় তহবিল গঠনের জন্য ‘ক্রাউডফান্ডিং’ করবে বলে জানিয়েছে ইতোমধ্যে। গত ৮ মার্চ দলের এক সংবাদ সম্মেলনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা অনলাইন ও অফলাইনে একটি ক্রাউডফান্ডিংয়ের (গণচাঁদা সংগ্রহ) দিকে যাচ্ছি, যে ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা দলের কার্যালয় স্থাপনসহ নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করব’ (সমকাল অনলাইন, ৮ মার্চ ২০২৫)।

রাজনীতিতে গণচাঁদা সংগ্রহ অভিনব কিছু নয়। রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গণচাঁদা সংগ্রহ করেই চলে। মওলানা ভাসানী মুষ্টি ধান-চাল সংগ্রহ করার বুদ্ধি দিয়েছিলেন তাঁর সমর্থকদের। এখন অবশ্য দিন বদলেছে। কেবল মুষ্টি ধান-চালের জোগান দিয়ে রাজনীতির চাকা ঘোরে না। ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো এখন প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে মুষ্টি ধান-চাল নিচ্ছে না, বরং ধান-চালের একাধিক 
কারখানা নিজেদের পকেটে নিয়ে দিব্যি বসে আছে। এইভাবে দলের তহবিলের জন্য ফান্ড নেওয়ায় সমস্যা হয় তখন, যখন রাজনৈতিক দলগুলো বেনিয়া ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাছ থেকে টাকা নেয় এবং তাদের স্বার্থ রক্ষায় একনিষ্ঠ থাকে। এভাবে চাঁদা নেওয়ার ফলে জনগণের সেবক হওয়ার বদলে রাজনৈতিক দলগুলো বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও মুনাফালোভীর সেবক হিসেবে কাজ করে। 
সারাবিশ্বেই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য গণচাঁদা গ্রহণ করে। তবে আমাদের সঙ্গে তাদের ব্যবধান হচ্ছে– প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য। তারা চাঁদা নিয়ে থাকে প্রকাশ্যে, আমরা নিয়ে থাকি অপ্রকাশ্যে। আমাদের কোন রাজনৈতিক দলের তহবিলে কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠান কত টাকা চাঁদা দিয়েছে, তার সুলুক সন্ধান করা কঠিন। 

আমরা যদি উন্নত গণতন্ত্রের দেশ আমেরিকার দিকে না তাকিয়ে প্রতিবেশী ভারতের দিকেও তাকাই, তাহলেও গণচাঁদার হিসাব পাওয়া যাবে। উদাহরণ হিসেবে দ্য হিন্দুর গত ১২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করা যায়। ভারতের আম আদমি পার্টির নেত্রী ও দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারণার খরচ মেটাতে একটি গণতহবিলের প্রচারণা চালিয়েছিলেন। নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য ৪০ লাখ রুপি দরকার ছিল। 


এখন ধরা যাক, আমাদের দেশের একটি নতুন রাজনৈতিক দলের ইফতার পার্টিতে দুই কোটি টাকা দরকার। এ পরিমাণ অর্থ গণচাঁদার মাধ্যমে উত্তোলন করা সম্ভব কিনা? রাজনৈতিক দল এবং দাতা উভয়েই স্বেচ্ছায় এ তথ্য প্রকাশ করবে কিনা? যদি নতুন দিনের রাজনীতির কথা বলা হয়, বিপরীতে সেই পুরোনো পথেই, অর্থাৎ তথ্য গোপন করার পথেই রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে যায়, তাহলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির বদল হবে কী করে? 

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে পবিত্র রমজান মাসের ইফতার ঘিরে যে নির্বাচনী হাওয়া বইছে, তাতে যেন কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর ভাগ্যবদল না ঘটে। জনগণের জন্য যে রাজনীতি, জনগণের উদ্দেশে যে ইফতারের আয়োজন করা হয়, সেটির খরচের খাতও জনগণের সামনে পরিষ্কার করা জরুরি। কেননা, সমর্থকদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের এজেন্ডার গ্রহণযোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত সদস্যদের চাঁদা, অনুদান নিয়ে থাকে। এটিই রীতি। আবার শুভাকাঙ্ক্ষীরাও অর্থ দিয়ে থাকেন। তবে কথা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থের উৎসের স্বচ্ছতা থাকতে হবে। একইভাবে গণতহবিলের ক্ষেত্রেও একই নীতি থাকা প্রয়োজন। সব তথ্য জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। আবার নির্বাচন কমিশনেও আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যে এসবের উল্লেখ থাকতে হবে। কমিশন চাইলেই যেন তা স্বতন্ত্রভাবে নিরীক্ষা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নেতাকর্মীকে আরও চাঙ্গা ও ঐক্যবদ্ধ করতে রমজানে ইফতার মাহফিল আয়োজনে করার উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘ দেড় দশক পরে দেশ স্বাভাবিক রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ইফতার রাজনীতির মাধ্যমে দল বা জোট গোছানো এবং নিজেদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে বলে মনে করি। ইফতার মাহফিলকে ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে দেখতে চাইলে, রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মুখোমুখি হবার প্রস্তুতিও নিয়ে রাখতে হবে। নইলে ইফতার মাহফিল আয়োজনের আর্থিক দিক নিয়ে যেমন কথা হবে, তেমনি তা ইফতারের যে পুণ্য সেটিও অধরা থেকে যাবে। 

এহ্‌সান মাহমুদ: সহকারী সম্পাদক, 
সমকাল; কথাসাহিত্যিক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র র জন ত র র র জন ত র ইফত র ইফত র র জনগণ র র জন য আম দ র তহব ল এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনার পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী সমির রিমান্ডে

মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমের পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে চাঁদাবাজির মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। সানজানা ম্যানপাওয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সমির। গত বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত ধারায় প্রতিরোধ আটকাদেশে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি কাশিমপুর-২ নম্বর কারাগারে আছেন। বুধবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মডেল মেঘনাকে আটকের দিনই ঢাকা ছেড়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। আটকের সময় রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মেঘনা।   
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদ্য বিদায় নেওয়া সৌদি রাষ্ট্রদূতের অনানুষ্ঠানিক অভিযোগের ভিত্তিতে মেঘনাকে আটক করেছে পুলিশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ আসার পর এ ব্যাপারে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়। এর পর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনার যোগাযোগ থাকার বিষয়টি জানতে পারেন গোয়েন্দারা। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘনার পরিবারের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেটি ব্যর্থ হলে তাঁকে আটক করা হয়। এদিকে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।  

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, নারীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে আসছেন আসামি দেওয়ান সমির। তাঁর বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ভাটারা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেওয়ান সমিরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, আসামি গত জানুয়ারি থেকে সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের কাছ থেকে টাকা আদায়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি হুমকির সম্মুখীন হয়।
কাশিমপুর-২ কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. আল মামুন সমকালকে বলেন, প্রতিরোধমূলক আটকাদেশের বন্দিদের বিশেষ কক্ষে রাখা হয়। অন্যান্য বন্দির মতো তারা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় গোয়েন্দারা থাকেন। 

নিন্দা-প্রতিবাদ 
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তিসহ এই আইন বিলোপের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। শনিবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বিবৃতিতে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে একে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারী আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্ক্ষা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। 

মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারী পক্ষ। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দ্রুত এই কালো আইন বাতিল, মেঘনার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। যে বা যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে রাষ্ট্রীয় ইস্যু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। জনগণের করের টাকায় পরিচালিত বাহিনী কখনোই ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা বা কূটনৈতিক তোষণের যন্ত্র হতে পারে না। বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে হবে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্যাস-তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনের সংকট বাড়াবে: সিপিবি
  • জনগণ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা আমি বলিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মডেল মেঘনার সঙ্গে এই আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে না: খোদা বখস চৌধুরী
  • মডেল মেঘনার সঙ্গে এ আইন প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে না: খোদা বখস চৌধুরী
  • মেঘনা আলমের সঙ্গে প্রথম এই আইন ব্যবহার হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
  • খোলপেটুয়ার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেনাবাহিনীর
  • ‘শুধু সরকার ও দল নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক চায় চীন’
  • ঢাকার সমাবেশ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
  • মডেল মেঘনার পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী সমির রিমান্ডে