সিনিয়র সাঁতারুদের বাদ দিয়ে যে কারণে এ্যানিকে পাঠানো হচ্ছে বিশ্ব সাঁতারে
Published: 13th, March 2025 GMT
গত বছর জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে ১২টি সোনার পদক পাওয়ার পথে ৬টি জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন এ্যানি আক্তার। এবার তিনি যাচ্ছেন বিশ্ব সাঁতারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। তাঁর সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন সামিউল ইসলাম।
সামিউল গত বছরও বিশ্ব সাঁতারে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে যান সোনিয়া খাতুন। কিন্তু এবারই প্রথম কুষ্টিয়ার আমলা থেকে উঠে আসা সাঁতারু এ্যানি যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাঁতরাতে।
১৯৭৩ সাল থেকে হয়ে আসছে বিশ্ব সাঁতারের এই প্রতিযোগিতা। যেখানে বাংলাদেশের লক্ষ্যই থাকে সাঁতারুদের টাইমিংয়ের উন্নতি এবং নিজেকে পরখ করা। ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে কজন বাংলাদেশি সাঁতারু অংশ নিয়েছেন, এই টুর্নামেন্টে কেউই পদকের ধারেকাছে যেতে পারেননি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যেমনটা বলেছেন সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ‘আমাদের তো পদকের আশা নেই। তারা গিয়ে কিছুটা উন্নতি করল, টাইমিংও আগের চেয়ে ভালো হলো।’
সিনিয়র সাঁতারুদের রেখে জুনিয়র এ্যানিকে কেন পাঠানো হচ্ছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বড় ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদীতে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সরদারের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাই জিপু সরদারের নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পরও এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।
নিহত জিপু সরদার (৩০) ও আহত মনিরুল ইসলাম সরদার (৩৮) ওই গ্রামের রিকাত আলী সরদারের দুই ছেলে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিরোধ, বাড়ির সীমানা ও জমিজমা নিয়ে প্রায়ই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। আগের ঝগড়ার জের ধরে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া বাধে। ঝগড়া থেকে মারামারির এক পর্যায়ে বড় ভাই মনিরুলকে আঘাত করে জিপু, পরে জিপুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মনিরুল। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় দুই ভাইকে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহীতে নেওয়ার পথে জিপু মারা যায়।
আহত বড় ভাই মনিরুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ও আহত দুই ভাইয়ের বাবা রিকাত আলী সরদার বলেন, দুজনই আমার সন্তান। দুজনের মধ্যে আগে থেকেই বনিবনা ছিল না। কিন্তু এভাবে একজন আরেক জনকে হত্যা করবে তা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কী করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে আহত বড় ভাই মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত জিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করার পর মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে নিশ্চিত করে ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।