চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী-টেন্ডারবাজি শিবিরের আদর্শে নেই: নুরুল ইসলাম
Published: 13th, March 2025 GMT
শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, হল দখল, টেন্ডারবাজি- এসব শিবিরের আদর্শে নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় রাজধানীর জাতীয় আর্কাইভ ভবনের মিলনায়তনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “১৯৭৭ সাল থেকে শিবিরের ব্যাপারে গুম, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই। রগকাটার মতো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন মানুষ সচেতন, শিবিরের কারিকুলাম ও আদর্শ বর্তমান প্রজন্মকে আকর্ষণ করছে।”
বস্তুবাদী শিক্ষাকে ধর্ষণের অন্যতম কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, “নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার পরিবর্তে শুধু বস্তুবাদী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ফলে শত আন্দোলনেও এ সমাজ থেকে কখনও নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমবে না। সমাজের মোরাল স্টান্ডার্ড নির্ভর করে শিক্ষার উপর।”
শেকৃবি শাখা শিবিরের সভাপতি আবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি এইচ এম সালাউদ্দিন, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.
এসময় শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন (২৪ ব্যাচের) শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এক্সপ্রেসওয়েতে ছাদ উড়ে যাওয়া বাস থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার’
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর এলাকায় প্রথমে মাইক্রোবাস তারপর কাভার্ড ভ্যান ও একটি কন্টেইনারের সঙ্গে সংঘর্ষে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের ছাদ ভেঙে উড়ে পড়ে এক্সপ্রেসওয়েতে।
পরপর তিন দফা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয় বাসে থাকা অন্তত ২০ যাত্রী। চালক বাস না থামিয়ে আহত যাত্রীদের নিয়ে ছাদবিহীন বাস চালিয়ে চলে যান ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় অভ্যন্তরীণ সড়কে। এসময় আহত যাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার’ শুনে ছাদবিহীন বাসটি আটক করে জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত বাস যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের যাত্রীবাহী বাসটি চালক বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় পৌছলে একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকে। সমষপুর এলাকায় পৌছে অপর একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ বডি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। যাত্রীরা চালককে থামাতে অনুরোধ করলেও সে তা উপেক্ষা করে।
আহত যাত্রীরা জানান, চালক দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে ছাদবিহীন বাস চালিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের পদ্মা সেতু উত্তর থানার লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় চলে আসেন। এ সময় আহত যাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার’ শুনে ছাদবিহীন বাসটি আটক করে জনতা।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত শাহিন নামের এক যাত্রীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ওসি জানান, চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
ঢাকা/রতন/টিপু