এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বলেছেন, তাঁরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে কাজে লাগাতে চান। আগামী দিনের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবি পার্টির নেতৃত্বেই হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এবি পার্টির গণ–ইফতার কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দিদারুল আলম। পহেলা রমজান থেকে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণ–ইফতারের আয়োজন করছে দলটি।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) হাসান নাসির বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনীতি গণমুখী করতে হবে, নেতামুখী রাজনীতি বিলোপের এটাই উপযুক্ত সময়। আমূল সংস্কার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একমাত্র শত্রু ভারত ও আওয়ামী লীগ। শত্রুদের কোনোভাবে গর্ত হতে বের হতে দেওয়া যাবে না। মাথা বের করলেই তা আবার গর্তে ঢুকিয়ে দিতে হবে।’

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণ–ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) বিল্লাল আহমেদ, মেজর (অব.) আনিসুর রহমান প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। একুশে পদকপ্রাপ্ত পল্লীকবি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই দিনই তাঁকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর গোবিন্দপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় সমাহিত করা হয়। 

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় শহরের গোবিন্দপুর এলাকার পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। এ ছাড়া কবির প্রতিষ্ঠিত আনসারউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। 

প্রসঙ্গত, ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জসীম উদ্‌দীন জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে লেখা তাঁর ‘কবর’ কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আসমানী’ তাঁর বহুল পঠিত কবিতাগুলোর অন্যতম। 

এ ছাড়া মধুমালা, বেদের মেয়ে, সোজন বাদিয়ার ঘাট, নকশী কাঁথার মাঠ, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, বাঙালির হাসির গল্প প্রভৃতি লেখায় মানুষের হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে গ্রামবাংলার শাশ্বত রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ