দীর্ঘ ছয় মাসের বিরতি শেষে আবারও ফ্রান্স জাতীয় দলে ফিরেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আসন্ন উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২০ ও ২৩ মার্চের ম্যাচের জন্য তাকে স্কোয়াডে রেখেছেন কোচ দিদিয়ের দেশম। অধিনায়কত্ব নিয়েও কোনো অনিশ্চয়তা নেই। দেশম স্পষ্ট করেছেন, আগের মতোই দলকে নেতৃত্ব দেবেন এমবাপ্পে। তিনি বলেন, ‘আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি। এমবাপ্পেই অধিনায়ক থাকবে।’

গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল ও ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে ক্লান্তির কারণ দেখিয়ে তাকে দলে রাখা হয়নি। তবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব ফুটবলে খেলা চালিয়ে যান এই তারকা ফরোয়ার্ড। ফ্রান্সের হয়ে সর্বশেষ তিনি মাঠে নামেন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বেলজিয়ামের বিপক্ষে। জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত এমবাপ্পের গোলসংখ্যা ৪৮, যা ফ্রান্সের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার সামনে রয়েছেন কেবল থিয়েরি অঁরি (৫১) ও অলিভিয়ে জিরু (৫৭)।

এবারের স্কোয়াডে আরও ফিরেছেন চোট কাটিয়ে ওঠা মিডফিল্ডার অরেলিয়েন চুয়ামেনি। পিএসজির উইঙ্গার উসমান দেম্বেলেও দলে আছেন। নতুন মুখ হিসেবে স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তরুণ স্ট্রাইকার দেজিরে দোউ, যিনি সম্প্রতি লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন।

প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২১ মার্চ, ক্রোয়েশিয়ার শহর স্প্লিটে। ফিরতি ম্যাচ ২৩ মার্চ প্যারিসের স্তাদ দে ফ্রান্সে।

ফ্রান্স স্কোয়াড:

গোলরক্ষক: মাইক মেনিয়ান, লুকাস শেভালিয়ার, ব্রাইস সাম্বা

ডিফেন্ডার: জনাথন ক্লস, জুলস কুন্দে, উইলিয়াম সালিবা, ইব্রাহিমা কোনাতে, দায়োত উপামেকানো, বেঞ্জামিন পাভার্ড, থিও হার্নান্দেজ, লুকাস দিগনে

মিডফিল্ডার: এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, অরেলিয়েন চুয়ামেনি, মাতেও গুয়েন্দুজি, মানু কোনে, আদ্রিয়েন রাবিও, ওয়ারেন জাইরে-এমেরি

ফরোয়ার্ড: দেজিরে দোউ, ব্রাডলি বারকোলা, উসমান দেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপ্পে, রঁদাল কোলো মুয়ানি, মাইকেল অলিস, মার্কাস থুরাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প ন এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার শিশুটির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা-কফিনমিছিল

মাগুরায় আট বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে গায়েবানা জানাজা পড়েছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এই জানাজা হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

গায়েবানা জানাজা শেষে একটি প্রতীকী কফিনমিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। এ সময় ‘জাস্টিস জাস্টিস/ উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই/ ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।

রাজু ভাস্কর্যের সামনে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেতারা বক্তব্য দেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সার্বিকভাবে দেশের নারী নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। যখনই নারী নিরাপত্তা নিয়ে রাস্তায় নামতে যাবেন, সব সময়ই কোনো না কোনো ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়। এই ইস্যুগুলো নিয়ে যখন রাস্তায় নামার চেষ্টা করি, কথা বলার চেষ্টা করি, তখন যেন একটা ভয়, একটা ভীতি সবার মধ্যে কাজ করে।’

শিশুটির ধর্ষক ও হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে উমামা ফাতেমা বলেন, শুধু মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় অনেক শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। সেগুলো খবরের কাগজে আসে না। তিনি বলেন, তাঁরা এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে ধর্ষণের শিকার কোনো শিশুর জন্য প্রতিদিন রাস্তায় নামতে হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা এই সমাবেশ সঞ্চালনা করেন এবং সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার শিশুটি আজ আর নেই। কিন্তু তার সেই হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করার পবিত্র দায়িত্ব আপনার ও আমার।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, মাগুরার শিশুটির ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দেখতে চাই। এর বাইরে আমরা কোনো পদক্ষেপ দেখতে চাই না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী নিকিতা নাওয়ার বলেন, শিশুটির ধর্ষকদের বিচার যেন খুব দ্রুত সময়ে কার্যকর হয়। আসামির ফাঁসি হতেই হবে। পরবর্তী সময়ে যেন আর ধর্ষণ না হয়, তার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

এ সময় কলেজ শিক্ষার্থী মাইশা মাহা বলেন, ‘আর কত রাস্তায় দাঁড়ালে আমাদের বোনেরা নিরাপদে এই রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারবে, এর জবাব কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিতে পারবে?’ নারীদের হেনস্তা, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে উল্লেখ করে মাইশা মাহা বলেন, ‘স্বাধীন রাষ্ট্রে আমরা এখনো পরাধীন। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিচার চাইতে হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ