রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর পোশাক নিয়ে কটূক্তি ও তাঁর সহপাঠীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই ছাত্রীর সহপাঠী। মামলার পর বিকেলে অভিযুক্ত দুজনকে নগরের রাজপাড়া থানার হর্টিকালচার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো.

তন্ময় (২৮) ও মিলন (৩৮)। তাঁরা দুজন রাজশাহী নগরের মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কাজলা গেট দিয়ে ছাত্রাবাসে ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী ও তাঁর সহপাঠী। এ সময় বহিরাগত তন্ময় ও তাঁর সহযোগীরা ছাত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদ করলে তন্ময় মারার জন্য তেড়ে আসেন। ওই ছাত্র বাধা দিলে তন্ময় ও তাঁর সহযোগীরা তাঁদের ওপর চড়াও হন। এ সময় ছাত্রকে মারধর করা হয় এবং ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সহায়তায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর পোশাক নিয়ে মন্তব্য ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পেনাল কোডে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচার দাবিতে আজ দুপুরে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচি থেকে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানানো হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়

পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।

রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।

এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।

তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।

এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ