রাজধানীর ওয়ারী থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার দুই দিন পর শিশু উদ্ধার হয়েছে। মাকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। এর আগে স্ত্রী-সন্তানের গত মঙ্গলবার নিখোঁজের কথা জানিয়ে ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ওয়ারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

আজ রাত নয়টার দিকে হুমায়ুন কবির বলেন, কে বা কারা তার সন্তানকে বাসার সামনে নামিয়ে রেখে গেছেন। শিশুটি বলেছে, তারা একটি হোটেলে ছিল।

এর আগে হুমায়ুন কবির বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর স্ত্রী শিশুপুত্রকে নিয়ে ওয়ারীর ওয়ার স্ট্রিট এলাকার একটি স্কুলে যান। দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষা শেষে ছেলেকে নিয়ে তাঁর স্ত্রীর বাসায় ফেরার কথা ছিল; কিন্তু কেউ বাসায় ফেরেনি। পরে তিনি তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন।

হুমায়ুন কবির আরও বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাঁর ছেলের নানির মুঠোফোনে কল আসে। বলা হয়, ‘আপনার নাতির সঙ্গে কথা বলেন।’ তখন তাঁর ছেলে তার নানিকে বলে, ‘আমরা নিরাপদে আছি।’ এ কথার পরই মুঠোফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবের কাছেও অভিযোগ দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ছেলে উদ্ধার হয়েছে। মাকেও শিগগিরই উদ্ধার করা হবে।

আরও পড়ুনওয়ারী থেকে ‘নিখোঁজ’ মা-ছেলে দুদিনেও উদ্ধার হননি৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্বামী

স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুল বাসার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক। পরক্ষণে স্ত্রী শুধু চলন্ত ট্রেনের শব্দ শুনতে পান। পরে একাধিকবার কল দিলেও সাড়াশব্দ মেলেনি। ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায়।

নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তার। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন তিনি  জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ