রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এক ছাদের নিচে বসে ইফতার করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বামপন্থি ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে নেতাকর্মীরা। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকার পরও তারা ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির অংশ হিসেবে এ ইফতারে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সিসিডিসি গ্যালারির রুমে প্রেসক্লাবের ইফতার আয়োজনে এ দৃশ্য দেখা যায়।

রাবি প্রেসক্লাবের নেতারা জানান, ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে তারা প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন করে থাকেন। ভবিষ্যতেও সম্প্রীতির এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের আয়োজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন তারা।

আরো পড়ুন:

শিবির নেতা নোমানী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

রাবি নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ

এ সময় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “দৈনন্দিন জীবনে আমাদের হালাল-হারাম মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। শুধু শূকরের মাংসই হারাম না। হারাম উপার্জনের টাকা দিয়ে হালাল ফল কিনলেও সেটা হারাম হয়ে যাবে।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা সংবাদ অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই তারা যেন সবসময় সত্য লেখার চেষ্টা করে।” 

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

হাসানাত আলী বলেন, “জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। এ বিপ্লবের কারণে আমরা রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে গিয়ে এক ছাদের নিচে বসে ইফতার করতে পারছি। দেশের ক্রান্তিলগ্নে সব শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “এ রমজান মাস আমাদের তাকওয়া, দ্বীনদারিতা ও পরহেজগারিতার শিক্ষা দেয়। কাঁটাযুক্ত পথের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলে যেমন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়, জীবনে সে রকম সাবধানতা অবলম্বন করার নামই তাকওয়া।”

তিনি বলেন, “রমজানে আমরা যে রকম পানাহ থেকে বিরত থাকি, সারাজীবন সেভাবে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলেই আমরা সফল। এছাড়া মুসলমান হিসেবে সবসময় অন্যকে দাওয়াত দিয়ে ইসলামের পথে আনার চেষ্টা করব।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক এফ নজরুল, অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাবি শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র মিশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র গণমঞ্চ, ছাত্র ফেডারেশন, বাঁধন, উদীচি, ক্যারিয়ার ক্লাব, স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন, পিডিএফ, সাইন্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, সাবেক সমন্বয়কবৃন্দ, গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ, সোচ্চার রাবি ইউনিট, রাবি সাংবাদিক সমিতি ও রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক জীবনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে গাবতলীবাসীর নিন্দা ও প্রতিবাদ

গাবতলী সোসাইটির সভাপতি, গাবতলী বাইতুল মোকাদ্দাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ-সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর ইসদাইর ও গাবতলীর বাসিন্দারা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) গাবতলীবাসীর পক্ষে ২৪১ জন বাসিন্দা লিখিত প্রতিবাদ লিপির মাধ্যমে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

প্রতিবাদ লিপিতে তারা উল্লেখ করেন, রফিকুল ইসলাম জীবনকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে চলেছে দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকা। এসব রিপোর্ট প্রকাশের পর আবার বিনামূল্যে যুগের চিন্তা পত্রিকা গাবতলী এলাকায় বিলি করা হচ্ছে, যা কিনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক এবং চূড়ান্ত নোংরামি হিসাবে আমরা মনে করি। তাই আমরা দৈনিক যুগের চিন্তার এই ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করবো এই প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর দৈনিক যুগের চিন্তা তাদের এই নোংরা অপপ্রচার বন্ধ করবেন। অন্যথায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

 

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গাবতলী বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল আউয়াল বলেন, জীবন অত্যন্ত ভালো মানুষ, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে সে। তার দ্বারা উপকার ছাড়া কারো অপকার হতে কখনো দেখিনি আমরা। এলাকাবাসীর প্রয়োজনে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখে জীবন। তার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হচ্ছে, এগুলোর প্রশ্নই উঠে না, তা শত্রুতামূলকভাবে হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। গাবতলীতে আগে ব্যাপক অপকর্ম হতো, সাংবাদিক জীবন শক্ত হাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ায় এলাকায় এখন সর্বদা শান্তি বিরাজমান। মুলত, সাংবাদিক জীবন থাকাতে আমিও এলাকায় আসি, তা নাহলে আমিও আসতাম না। শুধু আমিই নয়, এলাকার ব্যবসায়ীদের অনেকেই সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকায় আসতো না, তবে জীবন সোসাইটির দায়িত্ব নেয়ার পর এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখার কারণে এলাকা আজ শান্ত। গাবতলী এলাকায় খারাপ কিছু হয় এটা কেউ বলতে পারবেনা।

 

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে, যার জন্য জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। নি:সন্দেহে জীবন অত্যন্ত ভালো মানুষ, এখানে কোনো সন্দেহ নাই। তবে, এলাকায় যারা বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তারা হয়তো জীবনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে।

 

ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক জীবন অত্যন্ত ভালো মানুষ। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তখন তাদের সাথেই চলতে হয় সাংবাদিকের, এটা নিয়ে তো এতো বাড়াবাড়ি করার কিছু নাই। শামীম ওসমানের যুগের সাংবাদিকরা শামীম ওসমানের সাথে কথা বলছে, কথা বলতে বাধ্য হয়েছে। আবার এখন শামীম ওসমানরা নাই, বিএনপি হোক জামায়াত হোক, সেই যুগ এসে গেছে আবার তাদের সাথে কথা বলবে এটাই তো স্বাভাবিক।

 

গাবতলী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী বায়তুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা বলেন, আমরা যারা বিদেশ করে এসেছি, আমাদের মন হলো সাদা। আমরা যেটাকে ভালো তাকে ভালোই বলি এবং যেটা খারাপ সেটাকে খারাপ বলি। সেই হিসেবে জীবন স্পষ্টবাদী ছেলে এবং সবসময় ভালো কাজে জড়িত থাকে সে। এলাকার মধ্যে এতো সমস্যা হয়েছে তার সবই সমাধান করা সম্ভব হয়েছে জীবনের কারণে। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জীবন সবসময় দৌড়াদৌড়ি করেছে, পরিশ্রম করেছে। মাদকে সয়লাব হয়ে গিয়েছিলো গোটা এলাকায়, সেই অবস্থা থেকে উত্তরণে সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র জীবনের কারণে। গোটা নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সর্বপ্রথম সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত হয়েছে আমাদের এলাকা। জীবন যা করেছে, খুবই ভালো কাজ করেছে, সে আমাদের এলাকার জন্য একটা আশির্বাদ বলে আমি মনে করি। আসলে, যে ভালো কাজ করে তার বিরুদ্ধেই দুষ্টরা লাগে। জীবনের এতো সব ভালো কাজে যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, মূলত তারাই জীবনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, এছাড়া কিছু নয়।

 

গাবতলীর বাসিন্দা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, রফিকুল ইসলাম জীবন যে একজন ভালো লোক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ এবং কারো অন্যায় সে সহ্য করতে পারেনা। অন্যায় দেখলেই সে প্রতিবাদ করে। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশেই সে ঝাপিয়ে পড়ে বিনা স্বার্থে, দুইটা পয়সাও তাকে দেয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। এলাকার বহু মানুষের বিপদে তিনি উপকার করছেন যা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা।

 

তিনি আরও বলেন, একটি পত্রিকায় দেখলাম রফিকুল ইসলাম জীবনের নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে, সেই পত্রিকাটা দেখে আমি এক লাইন পড়েছি, তারপর পত্রিকাটা ছিড়ে ফেলে দিয়েছি। এতো মিথ্যা কথা সহ্য করা যায় না। সিসি ক্যামেরা লাগানোর কারণে সমগ্র এলকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করছে, এটা রফিক ভাইয়ের (রফিকুল ইসলাম জীবন) অবদান। আগে এলাকায় ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম হতো, এখন এ সমস্ত কোনো কিছুই নেই, হাশিখুশী জীবন যাপন আমাদের। শুধু আমি নয়, এলাকার সবাই তাকে ভালো বলেই বলবে, বলতেই হবে, না বললে সে মোনাফেক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিক জীবনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে গাবতলীবাসীর নিন্দা ও প্রতিবাদ