ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় ১০০ বলের ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট ‘দ্য হান্ড্রেড’-এর আরেকটি মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। তবে আগের মতো এবারও হতাশাই সঙ্গী হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য। এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম নিবন্ধন করেছিলেন বাংলাদেশের ২৮ জন পুরুষ ক্রিকেটার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই কোনো দলে সুযোগ পাননি।

অতীত মৌসুমগুলোতেও একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাম নিবন্ধন করলেও কেউ দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। এবার প্রত্যাশা ছিল, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের আলোকে কিছু ক্রিকেটার দৃষ্টি কাড়বেন। কিন্তু ড্রাফটের পর ঘোষিত স্কোয়াডে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম দেখা যায়নি।

সবচেয়ে বেশি ভিত্তিমূল্য ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ডে ড্রাফটে ছিলেন সাকিব আল হাসান। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ছিলেন ৬৩ হাজার পাউন্ড ভিত্তিমূল্যে। সম্প্রতি পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন রিশাদ।

৫২ হাজার পাউন্ড ভিত্তিমূল্যে ছিলেন লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয় ও শেখ মেহেদী হাসান। অন্যদিকে ৪১ হাজার ৫০০ পাউন্ড ভিত্তিমূল্যে তালিকাভুক্ত ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম। উল্লেখযোগ্যভাবে, নাহিদ রানা তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে পিএসএলের পেশাওয়ার জালমির স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়া আরও ২০ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার নির্দিষ্ট ভিত্তিমূল্য ছাড়াই ক্যাটাগরিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু তারাও থেকে গেছেন অবিক্রীত।

গতকাল অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্য হান্ড্রেড’ এর প্লেয়ার্স ড্রাফট। ড্রাফটে সবচেয়ে চাহিদায় ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও রাচিন রবীন্দ্র। এছাড়া কেইন উইলিয়ামসন, মিচেল স্যান্টনার, ডেভিড মিলার ও মার্কাস স্টয়নিসদের মতো তারকারাও জায়গা পেয়েছেন বিভিন্ন দলে।

বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানের অবস্থাও হতাশাজনক। দেশটির ৪৫ জন ক্রিকেটার ড্রাফটে নাম লিখিয়েও দলে সুযোগ পাননি। তালিকায় ছিলেন নাসিম শাহ, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, সাইম আইয়ুবরাও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

পঁয়ত্রিশের পর ধার বেড়েছে যাদের

বছর পঁচিশের ক্রিস গেইলকে কতজনই বা চিনেছিলেন, যতটা না তাঁকে চেনা গিয়েছিল বুড়ো বয়সে! ক্যারিবিয়ান এ তারকা ‘ইউনিভার্সাল বস’ হয়েছেন তো পঁয়ত্রিশের পরে এসে। তার সেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছক্কা মারার ভঙ্গিটা দেখা গেছে ক্যারিয়ারের শেষের দিকেই। ক্রিকেটে আসলে এমন কিছু ব্যাপার থাকে, যা ব্যাকরণের মধ্যে ফেলা যায় না। যেখানে অনেকেই পঁয়ত্রিশের আগেই হাঁপিয়ে ওঠেন, সেখানে কেউ কেউ জ্বলে ওঠেন আগের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে। 

ক্রিস গেইল, কুমারা সাঙ্গাকারা, ম্যাথু হেডেন, মোহাম্মদ হাফিজরা তাদের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ক্যারিয়ারে। তাদের প্রত্যেকের স্ট্রাইকরেট বেড়েছে এই সময়ে। সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন বোধহয় বছর সাঁইত্রিশের ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যিনি কিনা গত দুই বছরে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি আগ্রাসী, আরও বেশি বলশালী হয়েছেন।

 আঠারো বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম ষোলো বছর, রোহিতের স্ট্রাইকরেট ছিল ৮৯.০২; গত আড়াই বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭.৩৭তে। গড় আগে যা ছিল ৪৮.৬, সেটা সামান্যই বেড়েছে ৪৯.৬। অর্থাৎ রানের গড় ঠিক রেখে রান তোলার গতি বেড়েছে তার এই সময়ের মধ্যে। 

য়সের সঙ্গে সঙ্গে ধারে ও ভারে নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন রোহিত, তারপর তিনি বলতেই পারেন, ‘আমি এখনই অবসর নিচ্ছি না।’

গত আড়াই বছরের মধ্যে যেন স্বর্ণ সময় পার করছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি জেতার অর্জনে কিংবদন্তি ইমরান খানের পাশে চলে এসেছেন। পাঁচ বা এর বেশি দল নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চারটি করে ট্রফি জিতেছেন মাত্র চার অধিনায়ক। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ইমরান খান ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতার আগে অস্ট্রাল- এশিয়া কাপ জিতেছিলেন ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে। 

এ ছাড়া ১৯৮৯ সালের ওয়ার্ল্ড সিরিজ এনে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি জিতেছিলেন ২০০৬ ও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ধোনি এনেছিলেন ২০১১ বিশ্বকাপ, ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৬ এশিয়া কাপ। আর অধিনায়ক রোহিত জিতেছেন ২০১৮ ও ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ, ২০২৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপ আর এবারের ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই চারটি শিরোপার তিনটিই তিনি জিতেছেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে পরিণত একজন হয়ে। বয়সেই সৌন্দর্য বেড়েছে তাদের।

৩৫ বছরের পর পারফরম্যান্স     ৩৫ বছরের আগের পারফরম্যান্স
ব্যাটার              রান          স্ট্রাইকরেট       রান     স্ট্রাইকরেট
রোহিত শর্মা      ১৮৮৫         ১১৭.৩৭     ৯২৮৩     ৮৯.০২
ক্রিস গেইল       ১৬৭০         ১০৮.৬৫     ৮৮১০     ৮৪.০৫
কুমারা সাঙ্গাকারা ৩৩৯২       ৯১.১৩        ১০৮৪২     ৭৫.৬৮ 
ম্যাথু হেডেন        ১৮৯৯          ৯১.১৩      ৪২৩৪       ৭৫.৮১
মোহাম্মদ হাফিজ   ১৫৬০        ৮৪.২৮    ৫০৫৪      ৭৪.৫২
# পঁয়ত্রিশ বছর বয়সের পর কমপক্ষে ১৫০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল
  • ফেব্রুয়ারির সেরা ক্রিকেটার গিল
  • পঁয়ত্রিশের পর ধার বেড়েছে যাদের
  • বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ
  • ডুয়েল সার্টিফায়েড ট্রেন্ডসেটার ডিভাইস
  • অ্যানফিল্ডে জাদু দেখানোর অপেক্ষায় পিএসজি
  • পিএসজির আজ লিভারপুল পরীক্ষা
  • অ্যানফিল্ড কঠিন জায়গা জেনেও দারুণ কিছুর আশায় পিএসজি