আছিয়ার ধর্ষকের ফাঁসি চান খেলাফত মজলিসের মহাসচিব
Published: 13th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, মাগুরার শিশু আছিয়ার জন্য কাঁদছে দেশবাসী। অতি উন্নত চিকিৎসা দিয়েও শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখা যায়নি। ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে। অছিয়ার ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি কার্যকর দেখতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চাষাঢ়া ড্রিং অ্যাণ্ড ডাইন রেষ্টুরেণ্টে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার উদ্যোগে অয়োজিত, তাকওয়া অর্জনে মাহে রমজানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মাওলানা মামূনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ডা: আল আমিন রাকিবের সঞ্চালনায় এ মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল ও মাওলানা এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মাওলানা হুসাইন আহমদ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদির, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মইনুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা উবায়দুল কাদির নদভী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান,সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারী মিজানুর রহমান, গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের দপ্তর সম্পাদক শাহিন হাওলাদার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা রশীদ আহমদ, নুরে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাকিব সাইফী ও আলেম উলামাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ভীতি কাটাতে গণিতের চর্চা বাড়াতে হবে
গণিত আমাদের চিন্তাশক্তি ও যুক্তিকে ক্ষুরধার করে। গণিতের নিজস্ব একটি ভাষা রয়েছে। এই ভাষা আয়ত্ত করতে হলে গণিতের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। গণিতভীতি কাটাতে বাড়াতে হবে গণিত নিয়ে চর্চা।
জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বে অতিথি ও আলোচকদের কথায় উঠে এল এসব বিষয়। গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে এ আয়োজন করা হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
‘বাংলাদেশ গণিত সমিতি–এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন ১৫তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪’-এর চূড়ান্ত পর্বের এই আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগ। চূড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান। আয়োজনের উদ্বোধন করেন তিনি। পরে অতিথি, প্রতিযোগী ও শিক্ষার্থীরা গণিত ভবন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করেন।
ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি ও পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শহীদুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকাত আলী, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম নুরুল আলম ও ১৫তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনিরুল আলম সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘গণিত আমাদের চিন্তাশক্তি ও যুক্তিকে ক্ষুরধার করে। গণিতের জ্ঞান পারিবারিক, সামাজিক ও কর্মজীবনে সব সময় কাজে লাগবে।’
এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের সম্মিলন ঘটেছে মন্তব্য করে উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, সবার মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে এ ধরনের আয়োজন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি কাটাতে গণিতের চর্চা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই অলিম্পিয়াড কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অলিম্পিয়াডের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবদুস সালাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং ছয়টি বিভাগ থেকে আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক পর্যায়ের ৮৩ জন শিক্ষার্থী অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী ১০ জন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফওজিয়া আফিয়া ইসলাম ও মো. সবুজ রানা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মো. জিম মিম সিদ্দিক, অনিন্দ্য বিশ্বাস, তাহজিব হোসেন খান, মো. আশারুল ইসলাম ও ফাহিম মুহতামিম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. গোলাম মুসাব্বির, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আহনাফ মারজুক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. সুমন।