ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচার দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
Published: 13th, March 2025 GMT
সারাদেশে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচারসহ ৩ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মশাল মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ভিসি চত্বর, নীলক্ষেত, কাটাবন, শাহবাগ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে শেষ হয়।
মিছিলে তারা ‘আছিয়ার হত্যাকারীদের, বিচার করো, করতে হবে’, ‘খুন ধর্ষণ, নিপীড়ন, রুখে দাও বাংলাদেশ’, ‘খুন-ধর্ষণ হয়নি শেষ, গর্জে উঠো বাংলাদেশ’, ‘আমার বোন মরলো কেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জবাব দাও’, ‘অবিলম্বে জাহাঙ্গীরকে, অপসারণ করতে হবে’, ‘আছিয়া মরে কেন, প্রশাসন জবাব দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আন্দোলকারীদের দাবিগুলো হলো—ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনসহ দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হামলার বিচার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়ন ও জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের অন্যায্য বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্বামী
স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুল বাসার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক। পরক্ষণে স্ত্রী শুধু চলন্ত ট্রেনের শব্দ শুনতে পান। পরে একাধিকবার কল দিলেও সাড়াশব্দ মেলেনি। ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায়।
নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তার। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন তিনি জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।