হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে আগামী রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) হবিগঞ্জের সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে পরামর্শ সভায় অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শামসুল হুদার সঞ্চালনায় ওই সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

২০১৮ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করা হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ গণঅভ্যন্থানের পর নাম পাল্টে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ রাখা হয়। হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের তিনটা ফ্লোরে এ হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। এ কলেজটি সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে আলোচনা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

গাজীপুরে ২ মহাসড়ক অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ 

বক্তারা বলেন, ‘‘হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চলছে, তা কোনোভাবেই জেলার ২৫ লাখ মানুষ মেনে নেবে না। জনস্বার্থবিরোধী এ চক্রান্ত থেকে সরে আসার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাইদুর রহমানের কারণে মেডিকেল কলেজ বন্ধের দিকে যাচ্ছে।’’ সাইদুর রহমান ঘন ঘন মিটিং ডেকে অযৌক্তিক ও একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

এর প্রতিবাদে সভায় আগামী ররিবার বেলা ১১টায় শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমদ ইকবাল, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডা.

সাখাওয়াত হোসেন জীবন, চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুখলিছুর রহমান, খেলাফত মজলিসের আহ্বায়ক সারোয়ার শামীম, সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী প্রমুখ। 
 

ঢাকা/আজহারুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ম ড ক ল কল জ অবর ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলা একাডেমিতে চলছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।

বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ। বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে পালন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদোত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।”

উপদেষ্টা আরো বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।” 

বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের র‌্যালিতে সব জাতিগোষ্ঠী একসাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং একসাথে আনন্দ করছে। এটা একটা অন্তর্ভূক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব। মেলা এমন একটা জায়গা যেখানে দুইপক্ষ খুশি থাকে। একজন ক্রয় করে এবং অন্যজন বিক্রি করে। মেলার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।”

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “বৈশাখী মেলার আয়োজন আমাদের জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। বাংলা নববর্ষ আমরা উদ্‌যাপন করবো জাতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। আমাদের উজ্জ্বল অতীত ছিল, সমৃদ্ধ আগামী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করতে হবে।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।

ঢাকা/এএএম/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ