খুলনার ডুমুরিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের গবিন্দকাটি গ্রামসংলগ্ন ভদ্রা নদীর চর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ভ্যানচালক মিলন শেখ (৪০) উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের কাকড় পাড়ার কৃষক ওমর আলী শেখের ছেলে।
মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হেলাল বলেন, নিহত মিলন মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি ভ্যান নিয়ে বের হন। এর পর আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন রাতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মিলনের ফোনটিও বন্ধ পাওয়ায় যায়। কি কারণে মিলন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে তাঁর স্বজন কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
ডুমুরিয়া থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারের সময় রশি দিয়ে তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। শরীর ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনিরা নির্জন স্থানে হত্যা করে তাঁর ভ্যানটি নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্বামী
স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুল বাসার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক। পরক্ষণে স্ত্রী শুধু চলন্ত ট্রেনের শব্দ শুনতে পান। পরে একাধিকবার কল দিলেও সাড়াশব্দ মেলেনি। ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায়।
নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তার। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন তিনি জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।