আড়াইহাজারে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার
Published: 13th, March 2025 GMT
আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে দায়েরকৃত মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জালাল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের সখেরগাঁও গ্রামে ঘটে। তবে ধর্ষণের আগে প্রেম হয় বাদী ও এক বিবাদীর। সেই ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে ব্লাকমেইল করে চলে একাধিকবার ধর্ষণ।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরআগে বুধবার রাতে ভিকটিম (৩৫) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আড়াইহাজারের সাতগাঁও ইউনিয়নের সখের গাওঁ গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো.
মামলার সূত্রে জানা যায়, আসামি জালাল বাদীর স্বামীর চাচাতো ভাই। ২০২৪ সালে পারিবারিক কলহের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাদীর স্বামীকে প্রধান আসামি করে ভয়ভীতি দেখায় আসামি জালাল।
এ সময় মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোনে কথা বলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ফোনে কথা বলতে বলতে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
ঘটনার এক পর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফাঁকা পেয়ে বাদীকে ধর্ষণ করে জালাল। পরবর্তীতে আবারও মামলা খারিজের কথা বলে নরসিংদীর হোটেল রিল্যাক্সে নিয়ে যায় এবং পুনরায় ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিও বাকি আসামিদের সরবরাহ করে এবং তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে এবং বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে।
এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে পুনরায় বাদীকে ধর্ষণ করে আসামি। এক পর্যায়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা না করার শর্তে স্ট্যাম্প পেপারে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেয় আসামিরা। পরবর্তীতে পুনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি প্রচার করতে থাকলে থানায় মামলা করেন তিনি।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতাকে মারধর
সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদি গ্রামে বিএনপির নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টি নেতা হযরত আলী গংগদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বিএনপি'র মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ প্রধান এ ঘটনায় শনিবার সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
অভিযোগ সূত্র জানা যায় যে,নুরুল হক মোল্লা , মোঃ হযরত আলী মোল্লা , বাবু মোল্লা , মোঃ শামিম মোল্লা ৫। মোঃ সাদেক মোল্লা সর্ব সাং-চরকামালদী, ডাকঘর- ধন্দীয় বাজার, থানা-সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫জন বিবাদীগণদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, বিবাদীগণ পরস্পর একদলভুক্ত, উচ্ছৃংখল, দাঙ্গাবাজ, পরধনলোভী ও খারাপ প্রকৃতির লোক।
গত শুক্রবার চরকামালদী উত্তর পাড়া মসজিদের সামনে সানাউল্লাহ বন্ধু আমানকে উপরোক্ত বিবাদীণ রাস্তায় আটকাইয়া তাহার কাছ থেকে ওয়াইফাই ও ডিসের মেশিন যাহার অনুমান মূল্য দুই লাখ টাকা জোর পূর্বক রাখিয়া দেয় এবং তাহার কাছে চাঁদা দাবি করে।
পরবর্তীতে আমান সানাউল্লাহ কাছে আসিয়া উক্ত বিষয়ে জানাইলে আমি স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়া উক্ত বিষয়টি সমাধান করার জন্য একটি উঠান বৈঠক শালিশ বসাই।
উক্ত উঠান বৈঠক শালিশে বিবাদীগণকে ডাকাইয়া আমানের মেশিন ফেরত দিতে বলিলে উপরোক্ত বিবাদীগণ সানাউল্লাহ উপর ক্ষপ্তি হইয়া দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র অবৈধ পিস্তল, রামদা, চাপাতী, ছুরি, লোহার রড, এসএস পাইপ, অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া সানাউল্লাহকে এলোপাথারী মারধর করিয়া আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা করে।
মারধরের এক পর্যায়ে সানাউল্লাহ গলায় থাকা ১৬রি স্বর্ণের চেইন যাহার অনুমান মূল্য- ১,৪০,০০০ (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা উপরোক্ত হযরত ছিনাইয়া নিয়া যায়।সানাউল্লাহ ডাক চিৎকার শুনিয়া আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে নুরুল হক মোল্লা পিস্তল দিয়ে ফাকা গুলি করে এবং বিবাদীগণ পরবর্তীতে সানাউল্লাহ্ বাড়িতে ডাকাতি করিবে ও গাড়িতে আগুন দিয়া দিবে।
পুকুরের মাছ মারিয়া ফেলবে ও পরিবারের লোকজনদের যে কোন সময় মারধর করিয়া প্রাণনাশ করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে।
সানাউল্লাহ জানান, বিবাদীরা খারাপ প্রকৃতির লোক তাহারা যেকোন সময় আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনদের মারধর করিয়া খুন যখম করত দাঙ্গাহাঙ্গামা করিয়া আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাইতে পারে মর্মে ভীত আশংখায় আছি। এমতাবস্থায় উক্ত বিষয়টি নিয়া আমি মানসিক ভাবে চিন্তিত এবং হতাশাগ্রস্থ হয়ে আছি।
এই বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদল নেতা ও বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ওয়াজকুরনীকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়ছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া।