ধানমন্ডির বড় হার, জয়ে ফিরল গুলশান ক্লাব
Published: 13th, March 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারায় ফিরেছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে স্বস্তির জয় পেয়েছে দলটি। আগে ব্যাট করে রূপগঞ্জ ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২২৮ রান। জবাবে গুলশান ৪৬.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
রূপগঞ্জের হয়ে অমিত মজুমদার ১০৮ বল খেলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৮৮ রান। এছাড়া আরিফুল হকের ৪০ ও আল আমিন জুনিয়রের ২৮ রানে দলটি সম্মানজনক স্কোর পায়। গুলশানের হয়ে আসাদুজ্জামান পায়েল ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। তার সঙ্গে নিহাদুজ্জামান ৪৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুলশানের দুই ওপেনার মিলে গড়েন ৯৫ রানের ভিত্তি। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম করেন ৪০ রান। এরপর জাওয়াদ আবরার ৭৫ বলে ৯ চারে ৬৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। খালিদ হাসান (৪৩), নাঈম হাসান (২১), ইফতেখার হোসেন ইফতি (২৫*) ও হাবিবুর শেখ মুন্না (২৪*) সহজেই জয় এনে দেন গুলশানকে। রূপগঞ্জের হয়ে মাহমুদুল হাসান ৩টি ও ফরহাদ হোসেন নেন ১ উইকেট।
অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার দেখেছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। আগের ম্যাচে গাজী গ্রুপের কাছে ১৭৫ রানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এবার সাভারের বিকেএসপিতে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে হেরেছে ৫ উইকেটে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধানমন্ডি ৩৩.
রান তাড়ায় শুরুতে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও মার্শাল আইয়ুবের ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে অগ্রণী ব্যাংক। ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে তারা এখন পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে। দুই জয় পাওয়া ধানমন্ডি নেমে গেছে সাত নম্বরে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল ধ নমন ড র পগঞ জ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্বামী
স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুল বাসার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক। পরক্ষণে স্ত্রী শুধু চলন্ত ট্রেনের শব্দ শুনতে পান। পরে একাধিকবার কল দিলেও সাড়াশব্দ মেলেনি। ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায়।
নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তার। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন তিনি জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।