গৌরীর সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করলেন আমির
Published: 13th, March 2025 GMT
কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে আমির খানের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। গত মাসে বেঙ্গালুরুর মেয়ে গৌরীর সঙ্গে আমিরের প্রেমের গুঞ্জনও ওঠে। অবশ্য এ নিয়ে টু-শব্দ করেননি অভিনেতা। সব জল্পনা শেষে আমির নিজেই স্বীকার করলেন নতুন সম্পর্কের কথা।
আমির খানের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে মুম্বাইয়ের এক হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে গৌরীর পরিচয় করিয়ে দেন আমির। তবে গৌরির ছবি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। তিনি জানান, নতুন সম্পর্ক যতটা সম্ভব ব্যক্তিগত রাখতে চান।
তবে গৌরী সম্পর্কে বিশদ এখনো জানা যায়নি। এটা জানা গেছে, বলিউডের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই গৌরীর। তবে দক্ষিণি চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগ রয়েছে কি না, তা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। তাই অনুরাগীদের মধ্যে গৌরীর পেশা নিয়ে এরই মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
১৯৮৬ সালে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছেন জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে রিনার সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টেনেছিলেন অভিনেতা। এরপরই আমিরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তাঁরই সহ-পরিচালক কিরণ রাও। ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তবে ২০২১ সালে যৌথভাবে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। আমির ও কিরণেরও এক পুত্র রয়েছে, নাম আজাদ রাও খান। সূত্র: ফিল্মফেয়ার।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্বামী
স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুল বাসার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাকশ্রমিক। পরক্ষণে স্ত্রী শুধু চলন্ত ট্রেনের শব্দ শুনতে পান। পরে একাধিকবার কল দিলেও সাড়াশব্দ মেলেনি। ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায়।
নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তার। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন তিনি জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।