কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে আমির খানের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। গত মাসে বেঙ্গালুরুর মেয়ে গৌরীর সঙ্গে আমিরের প্রেমের গুঞ্জনও ওঠে। অবশ্য এ নিয়ে টু-শব্দ করেননি অভিনেতা।  সব জল্পনা শেষে আমির নিজেই স্বীকার করলেন নতুন সম্পর্কের কথা।

আমির খানের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে মুম্বাইয়ের এক হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে গৌরীর পরিচয় করিয়ে দেন আমির। তবে গৌরির ছবি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। তিনি জানান, নতুন সম্পর্ক যতটা সম্ভব ব্যক্তিগত রাখতে চান।

তবে গৌরী সম্পর্কে বিশদ এখনো জানা যায়নি। এটা জানা গেছে, বলিউডের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই গৌরীর। তবে দক্ষিণি চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগ রয়েছে কি না, তা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। তাই অনুরাগীদের মধ্যে গৌরীর পেশা নিয়ে এরই মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।


১৯৮৬ সালে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছেন জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে রিনার সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টেনেছিলেন অভিনেতা। এরপরই আমিরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তাঁরই সহ-পরিচালক কিরণ রাও। ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তবে ২০২১ সালে যৌথভাবে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। আমির ও কিরণেরও এক পুত্র রয়েছে, নাম আজাদ রাও খান। সূত্র: ফিল্মফেয়ার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র খ ন অভ ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

পাহাড়ি পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অপহরণের প্রতিবাদে রোববার তিন পার্বত্য জেলা, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেলে চাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না অভিযোগ করে তিন দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো– পাঁচ শিক্ষার্থীকে সুস্থ অবস্থায় দ্রুত মুক্তি, তাদের উদ্ধারে প্রশাসনের জোরালো ও কার্যকর ব্যবস্থা এবং অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বিজু উৎসব শেষে চবি ক্যাম্পাসে ফেরার পথে গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে রিশন চাকমা, অলড্রিন ত্রিপুরা, মৈত্রীময় চাকমা, দিব্যি চাকমা ও লংঙি ম্রোকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও, অস্বীকার করেছেন সংগঠনের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।

শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনী খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত চালাচ্ছে। শনিবারও খাগড়াছড়ি সদরের ভাইবোন ছড়াসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়। তবে চার দিনেও অপহরণে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা জানান, তিনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভালো ভূমিকা নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা মুক্ত হওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী জাল্লাং এনরিকো কুবি বলেন, অপহরণের পর শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে চবি প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। চার দিনেও আমরা তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তিন পার্বত্য জেলা শহর, মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে সংহতি জানাতে সচেতন, মানবিক, প্রগতিশীল ছাত্র এবং নাগরিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবি শাখার সভাপতি অন্বেষ চাকমা বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন সূত্রে আমরা এ অপহরণে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার বিষয় জানতে পেরেছি। যে এলাকা থেকে অপহৃত হয়েছেন, সেটিও ইউপিডিএফ অধ্যুষিত।’

তিনি বলেন, ‘অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে অপহরণকারীরা কী বলেছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি জেনেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক শাংথুই প্রু, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ভুবন চাকমা, পহেলা চাকমা, পালি বিভাগের উহ্লাথোয়াই মারমা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ