মডেল মসজিদ নির্মাণে সৌদি টাকা দেয়নি, হয়েছে দুর্নীতি: প্রেস সচিব
Published: 13th, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে সৌদি আরবের কোনো ফান্ড ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রেস সচিব জানান, প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ১৭-১৮ কোটি টাকা করে খরচ করা হয়েছে। দুর্নীতি না হলে একেকটি মসজিদ অর্ধেক টাকায় করা যেত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, “পতিত স্বৈরাচার ৫৬০টি মসজিদ করেছিল। সমর্থকরা বলতে চেষ্টা করে যে, এটি সৌদি সরকারের অর্থায়নে একটি প্রকল্প। সৌদি আরব এখানে একটা টাকাও দেয়নি। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এটি এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প।”
শফিকুল আলম বলেন, “এই মসজিদের অনেক অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। দেখা গেছে যে খুবই প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী তার এলাকায় শহরে না করে ৮ কিলোমিটার দূরে যেখানে উনি একটা রিসোর্ট করছেন, সেখানে উনি মসজিদ করেছেন সরকারি টাকায়। একটা মসজিদের ব্যয় ১৭ কোটি টাকা। এখানে এত দুর্নীতি হয়েছে, অনেকেই বলছেন যে সেটা না হলে অর্ধেক খরচে করা যেতো। সেই বিষয়ে আজকে উপদেষ্টা পরিষদে আলাপ হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছে। এই কমিটি মসজিদ নির্মাণে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, অন্যায়-অনাচার হয়েছে, সেগুলো তারা তদন্ত করে দেখবেন।”
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীনে যাচ্ছেন।
প্রেস সচিব আরো বলেন, ‘‘যেসব কোম্পানি বাংলাদেশের কাছে পাওনা ছিল আজকে একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত এই ডিওগুলো ক্লিয়ার হবে। গ্রীষ্মকালে নেপাল থেকে আমাদের বিদ্যুৎ দিয়ে থাকেন। শীতকালে নেপালের বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা। তখন আমাদের কিন্তু বিদ্যুৎ কম প্রয়োজন হয়। শীতকালে আমাদের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেপালে কীভাবে পাঠানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বর্ষাকালে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা হয়। চট্টগ্রামের মানুষ খুবই ভোগান্তিতে পড়েন। এটা নিয়ে আজকে কেবিনেটে অনেক আলোচনা হয়েছে। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য যেসব প্রজেক্ট নেওয়ার ছিল, সেই বিষয়গুলো আজকে একটা রিভিউ হয়। মিটিংয়ে জানানো হয়, অনেকগুলো প্রজেক্ট সন্তোষজনক। আমরা আশা করছি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা আগামী বর্ষায় কমবে। পুরোপুরি যাবে কি না এ বিষয়ে আমরা এখনই বলতে পারছি না।’’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ ন র ম ণ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মসজিদ নির্মাণে সৌদি টাকা দেয়নি, হয়েছে দুর্নীতি: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে সৌদি আরবের কোনো ফান্ড ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রেস সচিব জানান, প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ১৭-১৮ কোটি টাকা করে খরচ করা হয়েছে। দুর্নীতি না হলে একেকটি মসজিদ অর্ধেক টাকায় করা যেত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, “পতিত স্বৈরাচার ৫৬০টি মসজিদ করেছিল। সমর্থকরা বলতে চেষ্টা করে যে, এটি সৌদি সরকারের অর্থায়নে একটি প্রকল্প। সৌদি আরব এখানে একটা টাকাও দেয়নি। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এটি এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প।”
শফিকুল আলম বলেন, “এই মসজিদের অনেক অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। দেখা গেছে যে খুবই প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী তার এলাকায় শহরে না করে ৮ কিলোমিটার দূরে যেখানে উনি একটা রিসোর্ট করছেন, সেখানে উনি মসজিদ করেছেন সরকারি টাকায়। একটা মসজিদের ব্যয় ১৭ কোটি টাকা। এখানে এত দুর্নীতি হয়েছে, অনেকেই বলছেন যে সেটা না হলে অর্ধেক খরচে করা যেতো। সেই বিষয়ে আজকে উপদেষ্টা পরিষদে আলাপ হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছে। এই কমিটি মসজিদ নির্মাণে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, অন্যায়-অনাচার হয়েছে, সেগুলো তারা তদন্ত করে দেখবেন।”
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীনে যাচ্ছেন।
প্রেস সচিব আরো বলেন, ‘‘যেসব কোম্পানি বাংলাদেশের কাছে পাওনা ছিল আজকে একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত এই ডিওগুলো ক্লিয়ার হবে। গ্রীষ্মকালে নেপাল থেকে আমাদের বিদ্যুৎ দিয়ে থাকেন। শীতকালে নেপালের বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা। তখন আমাদের কিন্তু বিদ্যুৎ কম প্রয়োজন হয়। শীতকালে আমাদের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেপালে কীভাবে পাঠানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বর্ষাকালে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা হয়। চট্টগ্রামের মানুষ খুবই ভোগান্তিতে পড়েন। এটা নিয়ে আজকে কেবিনেটে অনেক আলোচনা হয়েছে। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য যেসব প্রজেক্ট নেওয়ার ছিল, সেই বিষয়গুলো আজকে একটা রিভিউ হয়। মিটিংয়ে জানানো হয়, অনেকগুলো প্রজেক্ট সন্তোষজনক। আমরা আশা করছি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা আগামী বর্ষায় কমবে। পুরোপুরি যাবে কি না এ বিষয়ে আমরা এখনই বলতে পারছি না।’’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ