ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় খাল ও জলাশয়ের টেকসই উন্নয়নে ও ঢাকা শহরে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে আলাপকালে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের খাল দখলমুক্তকরণ ও খনন কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করে বলেন, ঢাকা শহরে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ডিএনসিসি ইতোমধ্যে খালের খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। ডিএনসিসি ঢাকা শহরে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে অন্যান্য সরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকার ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের এই উদ্যোগে নেদারল্যান্ডস আমাদেরকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে পারে। ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, নেদারল্যান্ডসের দৃষ্টিনন্দন খালগুলো বিশ্বে রোল মডেল। খালগুলোতে নৌযান চলাচল করে। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর যে ব্লু নেটওয়ার্ক ও হাইড্রো ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট রয়েছে তাদের কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।

জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন ম্যানেজমেন্ট, ও খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস কাজ করতে আগ্রহী। ঢাকা শহরে যে খাল রয়েছে সেগুলো উন্নয়ন করে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের সুযোগ রয়েছে। ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনে যৌথভাবে নেদারল্যান্ডস কাজ করতে চায়। দ্রুতই এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক প্রস্তাবনা দেব। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য

ব্যক্তিগত ২৮ রানের সময় আউট হয়েও বেঁচে গেলেন নো বলের কল্যাণে। একেই মনে হয় বলে চ্যাম্পিয়ন্স লাক! এরপর অভিষেক শর্মা আইপিএলকে উপহার দিলেন এক স্মরণীয় রাত। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর ৫৫ বলে খেললেন অবিশ্বাস্য ১৪১ রানের এক ইনিংস। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

অভিষেকের বিস্ফোরক ইনিংসের কল্যাণে পাঞ্জাব কিংসের ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে করা ২৪৫ রানকে মামুলি মনে হলো। প্রায় আড়াইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২৪৭/২)। যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। গত মৌসুমে (২৬ এপ্রিল, ২০২৪) ক্লকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬১ রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পাঙজাব জিতেছিল, যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।

আরো পড়ুন:

চেন্নাই প্লে’অফ খেলবে, দাবি ব্যাটিং কোচের

ধোনির অধিনায়কত্বেও ভাগ্য বদলালো না চেন্নাইর

গতরাতে রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন সিং। দুজন মিলে করেন ৬৬ রান। ১৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন প্রিয়াংশ। এরপর দলীয় ৯১ রানে ফেরেন প্রভসিমরন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪২। তবে পাঞ্জাবের হয়ে আসল ঝড়টা তোলেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৩৬ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ৮২ রান। আর শেষ দিকে ১১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস।

জবাব দিতে নেমে অভিষেকের এই মহাকাব্যিক ইনিংস যেন এক রূপকথার মত প্রত্যাবর্তন। চলমান আসরে এই ২৪ বছর বয়সী ওপেনারের ব্যাট ঠিক হাসছিল না। তবে পাঞ্জাবের সাথে ঠিকই অভিষেক জানান দিলেন, হারিয়ে যাননি তিনি। ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন। পাওয়ারপ্লে’র পর হেড যখন ছন্দে ব্যাট করছিলেন, তখন অভিষেক গিয়ার বদলে ঝড় তোলা শুরু করেন।

হেডের সঙ্গে ১৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন অভিষেক। যা হায়দরাবাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। হেডের ৩৭ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর অভিষেক ব্যক্তিগত প্রথম আইপিএল শতরানটি করেন মাত্র ৪০ বলে, যা আইপিএলের ইতিহাসে ষষ্ঠ দ্রুততম সেঞ্চুরি। কিন্তু তখনো চমকের বাকী ছিল। শতরান পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, অভিষেক নিজের পকেট থেকে একটি সাদা কাগজ বের করে উপরে তুলে ধরেন, যেখানে হাতে লেখা ছিল, ‘এই ইনিংসটি কমলা আর্মিদের জন্য’। পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াসও সেই মুহূর্তে কাছে চলে আসেন বার্তাটি পড়তে।

অভিষেক প্রায় ২৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪ চার ও ১০টি ছক্কায় তাঁর ইনিংসটি সাজান।

হায়দরাবাদের হয়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটিই। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৬ ছিল চূড়ায়। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। কেবল ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের আছেন সামনে।

টানা ৪ ম্যাচ হারার পর আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল হায়দরাবাদ। ৬ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে আছে প্যাট কামিন্সের দল।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ