হারিকেন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে না কেন
Published: 13th, March 2025 GMT
গোলাকার পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশের ঠিক মাঝবরাবর যে রেখা পূর্ব–পশ্চিমে সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। আর এই নিরক্ষরেখাকে কেন্দ্র করে বেশ মজার একটি ঘটনা ঘটে থাকে। হারিকেন প্রচণ্ড গতিতে সামনে–পেছনে এগিয়ে নিরক্ষরেখার কাছাকাছি গেলেও কখনোই তা অতিক্রম করে না।
হারিকেন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পানি থেকে তাপ চুষে নিয়ে শক্তিশালী আকার ধারণ করে। হারিকেন উষ্ণ, আর্দ্র বায়ুর মাধ্যমে চালিত একটি বিশাল ঘূর্ণমান টারবাইনের মতো। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক এলাকায় এই প্রাকৃতিক ঘটনা তৈরি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, যেখানে পানির তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। অদ্ভুতভাবে দেখা যায়, হারিকেন খুব কমই নিরক্ষরেখার কাছে যায় আর তা কখনোই অতিক্রম করে না।
হারিকেনমুক্ত নিরক্ষীয় অঞ্চলের পেছনে রয়েছে কোরিওলিস প্রভাব। এই শক্তি আমাদের বায়ুমণ্ডলের ওপরে প্রভাব তৈরি করে। পৃথিবী মেরুর তুলনায় নিরক্ষরেখায় দ্রুত ঘোরে। দ্রুত ঘোরার কারণে বায়ুপ্রবাহ ও ঝড় উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁ দিকে বেঁকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট-লোওয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ম্যাথিউ বারলো জানিয়েছেন, দূরত্ব হিসেবে নিরক্ষরেখা থেকে সবচেয়ে কাছের হারিকেন প্রায় ১০০ মাইল দূরে সংগঠিত হতে দেখা যায়। সাধারণত বায়ুপ্রবাহের কারণে এরা নিরক্ষরেখা থেকে দূরে সরে যায়। আমরা হারিকেন নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা অতিক্রম করতে দেখি না। এই রেখা অতিক্রম করতে হলে এদের ঘূর্ণন বন্ধ করে বিপরীত দিকে যেতে হবে। আর তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যদিকে ঘুরতে হবে তখন। যদি কখনো হারিকেনের পক্ষে এই রেখা কাটানোর সুযোগ হয় তখন তাকে অনেক শক্তিধর হতে হবে। কোরিওলিস বলের বিপরীতে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে তখন। তাত্ত্বিকভাবে এই বিষয়টি সম্ভব হলেও বাস্তবে বেশ অসম্ভব বলা যায়। বাস্তবে এমনটা কখনো দেখা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী-টেন্ডারবাজি শিবিরের আদর্শে নেই: নুরুল ইসলাম
শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, হল দখল, টেন্ডারবাজি- এসব শিবিরের আদর্শে নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় রাজধানীর জাতীয় আর্কাইভ ভবনের মিলনায়তনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “১৯৭৭ সাল থেকে শিবিরের ব্যাপারে গুম, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই। রগকাটার মতো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন মানুষ সচেতন, শিবিরের কারিকুলাম ও আদর্শ বর্তমান প্রজন্মকে আকর্ষণ করছে।”
বস্তুবাদী শিক্ষাকে ধর্ষণের অন্যতম কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, “নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার পরিবর্তে শুধু বস্তুবাদী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ফলে শত আন্দোলনেও এ সমাজ থেকে কখনও নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমবে না। সমাজের মোরাল স্টান্ডার্ড নির্ভর করে শিক্ষার উপর।”
শেকৃবি শাখা শিবিরের সভাপতি আবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি এইচ এম সালাউদ্দিন, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলী আফজাল, শেকৃবির কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন (২৪ ব্যাচের) শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী