যশোরে প্রশিক্ষণ বিমানের ক্রাশ ল্যান্ডিং, অক্ষত ২ পাইলট
Published: 13th, March 2025 GMT
যশোর বিমান বন্দরে ক্রাশ ল্যান্ডিং করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। তবে বিমানের দুই পাইলট অক্ষত আছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে যশোর বিমান ঘাঁটি থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান (FLIGHT NO GROB -120 TRAINING MISSION) উড্ডয়ন করে। প্রশিক্ষণরত অবস্থায় স্বাভাবিক অবতরণের সময় ১২টা ৫৫ মিনিটে অসাবধানতাবশত ভূমিতে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং হয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি।
এতে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বিমানটিতে থাকা গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাওহীদ ও স্কোয়াড্রন লিডার মূসা অক্ষত আছেন। তাদের যশোর বিমান ঘাঁটিতে সাধারণ চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা বক্তব্য দেননি।
ঢাকা/রিটন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আত্মপ্রকাশ
জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নবগঠিত কমিটিতে ইউনিটার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সজীবকে আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর সফিউল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া মুখপাত্র হিসেবে আছেন চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।
আরো পড়ুন:
বিপ্লবী নারী পরিষদের আত্মপ্রকাশ
চবির ভর্তি পরীক্ষায় ২ জুলাই-বিপ্লবীকে নিয়ে প্রশ্ন
সংগঠন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এর মূল লক্ষ্য শহীদ ও আহতদের নিয়ে গবেষণা, প্রকাশনা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা, তাদের পরিবারের যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখা।
সংগঠনটির কাঠামোতে থাকবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ। যার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে সংগঠনের সব কার্যক্রম। বিশেষভাবে, শহীদ ও আহতদের পরিবারের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংগঠনটি তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (বিআরএফ) নির্বাহী পরিচালক, গবেষক ও লেখক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, বিআরএফের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডা. এস এম ইয়াসির আরাফাত, লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক মোনায়েম খান এবং বিআরএফের গবেষক ফারহিন ইসলাম।
ইতোমধ্যে সংগঠনটি শহীদদের নিয়ে প্রামাণ্য সংকলন গ্রন্থ ‘শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো’ (১ম খণ্ড) প্রকাশ করেছে। বইটিতে ২৬ জন শহীদের শেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনটির মুখপাত্র সৈয়দ আহমেদ সিয়াম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের যাত্রা শুরু হলো। অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে এবং শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে করবেন।”
সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়- হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠ, পল্লবী মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন, মিরপুর ১২, ঢাকা ১২১৬, বাংলাদেশ।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী