নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, সিদ্ধিগঞ্জের ২নং ওয়ার্ড ভূগোলিক কারনে একটি মূল্যবান ওয়ার্ড।

আগামীদিনের নেতৃত্ব তারাই পাবেন যারা ত্যাগী, আমাদের সাথে বিগত দিনে রাজপথে ছিলেন। আমরা কিন্তু আমাদের রাজপথের কর্মীগুলো চিনি। 

কারণ আমরা কিন্তু রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে এখানে এসেছি। আমরা বিগত সাড়ে ১৫টি বছর এই ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইসংগ্রাম করেছি। দীর্ঘদিন ছাত্রদলের নেতৃত্ব ছিলাম এখন যুবদলের নেতৃত্ব দিচ্ছি। 

যেহেতু আমরা দীর্ঘদিন নেতৃত্বে দিয়ে এসেছি আমরা কিন্তু আমাদের কর্মীদেরকে চিনি। কারা রাজপথের কর্মী কারা  আগামী দিনে নেতৃত্ব দিতে পারবে। সুতরাং একটি কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই রাজপথে ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের ছাড়া কাউকে নেতৃত্ব দেওয়া হবে না। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল তিনটায় সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফাইভ ওয়ে রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, সিদ্দিকগঞ্জের এই ২নং ওয়ার্ড কিন্তু ফ্যাসিবাদীদের একটি পূর্বতস্থল ছিল। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর ও সেক্রেটারি ইয়াসিন যারা ছিল তারা এক নং ও দুই নং ওয়ার্ডের মানুষের কল্যাণে কোনদিন কাজ করে নাই।

তাদের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিচার কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জের মাটিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, যুবদলের নিয়ম নীতি ও আদর্শ মেনে আপনারা সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ টি বছর কিন্তু সুদূর প্রবাস থেকেও আমাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসার জন্য দীর্ঘদিন কিন্তু তিনি এ দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। তিনি হলেন আমাদের নেতৃত্ব দানকারী নেতা। উনার নেতৃত্বে কিন্তু আমরা বিগত সাড়ে ১৫ টি বছরই ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে।

তিনি সব সময় আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। বাংলাদেশকে একটি অন্যান্য মাদ্রাসের রাষ্ট্র গঠন করার জন্য তিনি কিন্তু ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ঘোষণা করেছেন। আগামী দিনে কিন্তু আমাদেরকে এই ৩১ জবা বাস্তবায়ন করার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে।

আর তারেক রহমানের ৩১দফা সম্পর্কে জনগণকে অতিবাহিত করতে হবে। আর আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী যে যেই ধানের শীষে নির্বাচন করবে তার জন্য কাজ করতে হবে।

সুতরাং এখন থেকেই যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে দায়িত্বশীল নিয়ে সংগঠনের জন্য কাজ করতে হবে। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইদুর রহমান সোহেল, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন,  যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.

শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন  সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ য বদল র ন র য বদল র কর ম দ র র রহম ন ল ইসল ম র কর ম র জন য আম দ র ত কর ম র জপথ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আকাশে শোভা পাবে রক্তিম চাঁদ: কখন, কীভাবে দেখা যাবে

রাতের আকাশে দেখা যাবে বিরল এক দৃশ্য। আজ বৃহস্পতিবার ১৩ ও আগামীকাল শুক্রবার ১৪ মার্চ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। এ সময় গাঢ় তাম্রবর্ণ ধারণ করবে চাঁদ। একে বলা হচ্ছে ‘ব্লাড মুন’ বা ‘রক্তিম চাঁদ’। তবে পৃথিবীর সব স্থান নয়, এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে শুধু পশ্চিম গোলার্ধ থেকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক চন্দ্রগ্রহণ কী, আসন্ন গ্রহণের সময় কেন চাঁদ রক্তবর্ণ ধারণ করবে, কারা কারা চাঁদের এই রূপ দেখতে পাবেন, আর এ ঘটনা কতটা বিরল।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কী

পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের ঠিক মাঝামাঝিতে অবস্থান করে, তখন সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছানোর আগে পৃথিবীর ওপর বাধা পায় এবং পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর, এ সময় চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই চন্দ্রগ্রহণের প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে। সেগুলো হলো—

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায়। এ সময় চাঁদ লালচে রং ধারণ করে।

আংশিক চন্দ্রগ্রহণ: চাঁদের একটি অংশের ওপর যখন পৃথিবীর ছায়া পড়ে, তখন আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর পৃথিবীর ছায়া ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পরে তা কমে যায়। তবে পুরো চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায় না।

উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ সরাসরি পৃথিবীর মূল ছায়ার ভেতরে থাকে না। বরং ছায়ার বাইরের অংশ বা উপচ্ছায়ার ভেতর দিয়ে যায়। এর ফলে চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে কম উজ্জ্বল দেখায়।

চন্দ্রগ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়। এর মধ্যে পূর্ণগ্রহণের সময় দেখা যাচ্ছে রক্তিম চাঁদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ