পরনে লুঙ্গি, চোখেমুখে হিংস্রতা, উষ্কখুষ্ক চুল-দাঁড়ি আর পুরাদস্তুর অ্যাকশন লুক- জংলির টিজারে দেশি মাসালা হিরোরূপে দেখা মিললো সিয়াম আহমেদের। এমন সিয়ামকে এর আগে দেখেনি কেউ!

আসন্ন ঈদের ছবির প্রচারণায় সবার আগেই নেমে পড়ে জংলি। একের পর এক ইউনিক পোস্টার, রোমান্টিক গান, প্রি-টিজ আগেই ছেড়েছিল জংলি টিম। এবার এলো ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের টিজার।

জংলির প্রথম লুক পোস্টার দেখে অনেকেই বলেছিলেন পুষ্পা বা কবির সিংয়ের অনুপ্রেরণায় নির্মিত। টিজারে পপ কালচার রেফারেন্সে সিয়ামের মুখ থেকেই যেন এলো জবাব, ‘পুষ্পা? কাবীর সিং? অ্যাহহে! জংলি’!

জংলি টিম ইচ্ছে করেই এতদিন যেন আগলে রেখেছিল বুবলী অভিনীত চরিত্রটিকে। এতদিন সিনেমার প্রচারণায় কোথাও না থাকা বুবলীকে এক ঝলক দেখা গেল টিজারে। এখানেই বোঝা গেছে বুবলীর চরিত্রের গুরুত্ব। তবে গোটা টিজারে সিয়াম হাজির হয়েছেন ভয়ংকর মারমুখী ভাইবে। লুঙ্গি পরা এই সিয়াম টিজারেই দেখিয়েছেন, দেশীয় গল্পে দেশীয় নির্মাণেও দারুণ কিছু ঘটানো সম্ভব!

টিজারে শেষ দৃশ্য নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন রহস্য। এতদিন জংলিতে সিয়ামের সঙ্গে বুবলী ও দীঘিই ছিলেন আলোচনারা কেন্দ্রে। টিজারে সিয়ামের সঙ্গে দেখা গেছে একজন শিশুশিল্পীকেও। আন্দাজ পাওয়া গেল, জংলির গল্পে মূল প্লটে শিশুশিল্পীর শক্তিশালী ভূমিকা বিদ্যমান। যদিও বিষয়টি ধোঁয়াশা মধ্যেই রেখেছে টিম। নিশ্চয়ই এই ধাঁধার উত্তর কিছুটা হলেও মিলবে জংলির ট্রেলারে। বাকিটা নিশ্চয়ই দেখা যাবে সিনেমার হলের পর্দায়।

জংলি ছবি পরিচালনা করেছেন এম রাহিম। জংলি’ ছবির গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান মুন ও কলকাতার সুকৃতি সাহা। এতে বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন- দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ব বল ঈদ র স ন ম

এছাড়াও পড়ুন:

আকাশে শোভা পাবে রক্তিম চাঁদ: কখন, কীভাবে দেখা যাবে

রাতের আকাশে দেখা যাবে বিরল এক দৃশ্য। আজ বৃহস্পতিবার ১৩ ও আগামীকাল শুক্রবার ১৪ মার্চ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। এ সময় গাঢ় তাম্রবর্ণ ধারণ করবে চাঁদ। একে বলা হচ্ছে ‘ব্লাড মুন’ বা ‘রক্তিম চাঁদ’। তবে পৃথিবীর সব স্থান নয়, এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে শুধু পশ্চিম গোলার্ধ থেকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক চন্দ্রগ্রহণ কী, আসন্ন গ্রহণের সময় কেন চাঁদ রক্তবর্ণ ধারণ করবে, কারা কারা চাঁদের এই রূপ দেখতে পাবেন, আর এ ঘটনা কতটা বিরল।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কী

পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের ঠিক মাঝামাঝিতে অবস্থান করে, তখন সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছানোর আগে পৃথিবীর ওপর বাধা পায় এবং পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর, এ সময় চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই চন্দ্রগ্রহণের প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে। সেগুলো হলো—

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায়। এ সময় চাঁদ লালচে রং ধারণ করে।

আংশিক চন্দ্রগ্রহণ: চাঁদের একটি অংশের ওপর যখন পৃথিবীর ছায়া পড়ে, তখন আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর পৃথিবীর ছায়া ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পরে তা কমে যায়। তবে পুরো চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায় না।

উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ সরাসরি পৃথিবীর মূল ছায়ার ভেতরে থাকে না। বরং ছায়ার বাইরের অংশ বা উপচ্ছায়ার ভেতর দিয়ে যায়। এর ফলে চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে কম উজ্জ্বল দেখায়।

চন্দ্রগ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়। এর মধ্যে পূর্ণগ্রহণের সময় দেখা যাচ্ছে রক্তিম চাঁদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ