আছিয়ার জানাজায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস
Published: 13th, March 2025 GMT
প্রায় আট দিন হাসপাতালে শারীরিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে শেষপর্যন্ত মারা যায় মাগুরার আট বছর বয়সী শিশুটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় তার মরদেহ দাফনের জন্য সামরিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে সরাসরি মাগুরায় নেওয়া হয়।
হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হয় মরদেহ
শিশুটির পরিবার থেকে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মরদেহ মাগুরায় নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মাগুরায় শিশুটি চাচা গণমাধ্যমকে জানান, ধর্ষণের মামলার তদন্তে আজও পুলিশ শিশুটির বাড়িতে এসেছিল।
আছিয়ার জানাজায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস
আছিয়ার জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
পুলিশ যা বলছে
মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো.
এই মামলায় এখন চার জন আটক আছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মাগুরা/শাহীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।
রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক