২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জাতীয় দলকে বিদায় বলেছিলেন খালেদ মাহমুদ। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর দুই হাতে ছিল ফুলের তোড়া। বিদায় বেলায় চোখে জল ছলছল করলেও মুখে ছিল হাসি। সেই ঘটনার দুই দশক পরও সেটিই হয়ে থেকেছে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার একমাত্র ঘটনা।

মাহমুদউল্লাহ গতকাল ফেসবুক পোস্টে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর বিষয়টি আরও একবার সামনে এসেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার সংস্কৃতি কি কখনো ফিরে আসবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া এখন বেশ কঠিন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় না বলার এই সংস্কৃতি নিয়ে গতকাল কথা বলেছেন খালেদ মাহমুদ।

মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো মাহমুদ বলেছেন, ‘ওদের ক্যারিয়ারটা (মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, তামিম) বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটা উজ্জ্বল ব্যাপার। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় নিয়ে এসেছিল ওরা। আমি মনে করি, মাঠ থেকে অবসর নেওয়াটা ওদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, যারা ওদের সমর্থক, যারা ওদেরকে ভালোবেসেছে এত দিন, তারাও ডিজার্ভ করে যে একটা বড় করতালির মধ্যে ওদের মাঠ থেকে বিদায় দেওয়া।’

আমি যখন অবসর নিয়েছি, তখন বলেছি এটা আমার শেষ ম্যাচ। যখন কেউ এটা বলে, তখন একটা আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার ব্যবস্থা করতে পারে।খালেদ মাহমুদ

ভক্ত–সমর্থকদের প্রসঙ্গ নিয়ে খালেদ মাহমুদ এরপর যোগ করেন, ‘আমরা যারা সমর্থক ছিলাম, আমরা যারা ওদের ক্রিকেটকে ভালোবাসি, সেই সুযোগটা (মাঠ থেকে বিদায় দেওয়ার) আমাদের হয়তো হলো না। কেন ওরা মাঠ থেকে অবসর নিল না, ওরাই ভালো বলতে পারবে। হয়তো ওদের কোনো একটা কারণ থাকতে পারে। যেটা আমার মতামত, কোনো ছেলেকে অভিষেকের দিন মাঠেই ক্যাপ পরানো হয়। খেলাটা ছাড়ার সময়ও যদি মাঠ থেকে বিদায় হয়, জিনিসটা আরও প্রেজেন্টেবল হয়। যে খেলাটা আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেটা ছাড়াটা আসলেও কষ্টের।’

তামিম ইকবাল সম্প্রতি জাতীয় দলে আর না খেলার কথা বলেছেন। কোনো ধরনের ঘোষণা না দিলেও মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্যারিয়ার শেষ বলেই ধরে নেওয়া যায়। সাকিব আল হাসানও আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন কি না, নিশ্চয়তা নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো না করার পর মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ফেসবুক পোস্টে মুশফিক ওয়ানডে থেকে আর মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন।

প্রিমিয়ার লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ খালেদ মাহমুদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র ক টক অবসর ন

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিষয়ক দপ্তর তাদের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আকার কমাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের তৎপরতা চলার মধ্যে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এ পরিকল্পনার আওতায় শিক্ষা দপ্তরের প্রায় ২ হাজার ১০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়তে পারেন। ২১ মার্চ থেকে তাঁদের ছুটিতে পাঠানো হতে পারে।

ট্রাম্প অনেক দিন থেকেই শিক্ষা দপ্তরকে বিলুপ্ত করতে চাইছেন। এটা রক্ষণশীলদের একাংশের দীর্ঘদিনের চাওয়া। তবে শিক্ষা দপ্তরকে বিলুপ্ত করতে হলে এ বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।

মার্কিন শিক্ষা দপ্তরের বার্ষিক বাজেটের পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সেখানকার কর্মীর সংখ্যা চার হাজারের বেশি। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিভাগ সরকারি স্কুলগুলোর তহবিল তত্ত্বাবধান, শিক্ষার্থীদের ঋণ এবং নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করে।

মার্কিন শিক্ষা দপ্তর নিয়ে একটি ভুল ধারণা আছে। তা হলো, এ দপ্তরের আওতায় মার্কিন স্কুলগুলো পরিচালিত হয় এবং এটি পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে। আসলে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (ডিস্ট্রিক্ট) এসব কাজ করে থাকে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ তহবিলের তুলনামূলক সামান্য অংশ (প্রায় ১৩ শতাংশ) কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে আসে। আর তহবিলের সিংহভাগ আসে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

মার্কিন নাগরিকদের উচ্চশিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী ঋণ দেওয়ার কাজটি পরিচালনা ও তদারকির মধ্য দিয়ে শিক্ষা দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা বিভাগের চূড়ান্ত লক্ষ্যের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী কমাতে আজ (মঙ্গলবার) বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা দপ্তরের সব বিভাগেই এ ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়বে। শিক্ষার্থী, মা-বাবা, শিক্ষক ও করদাতাদের আরও ভালোভাবে সেবা দিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দপ্তরের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন সংস্থাটিতে ৪ হাজার ১৩৩ জন কর্মী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ১৫টি সংস্থার মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে কম।

ছাঁটাইয়ের পর শিক্ষা দপ্তরে ২ হাজার ১৮৩ জন কর্মী বহাল থাকবেন। এর মধ্যে এই বছরের শুরুতে অবসরে যাওয়া এবং স্বেচ্ছায় অবসরের প্রস্তাবে সম্মত হওয়া কয়েক শ কর্মীও রয়েছেন।

এক বিবৃতিতে কর্মীদের বলা হয়েছে, ছাঁটাই হওয়া সবাই ৯ জুন পর্যন্ত তাঁদের স্বাভাবিক বেতন ও সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা কত দিন ধরে বিভাগে কাজ করেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে আর্থিক পাওনাও পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
  • রিয়াদের বিদায়ে আবেগঘন বার্তা মাশরাফি-সাকিবদের
  • মাহমুদউল্লাহর অবসর: বিসিবির কৃতজ্ঞতা, আইসিসির ভালোবাসা
  • জেন-জি ও মিলেনিয়ালরা কেন সাময়িক অবসরে যাচ্ছেন
  • শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্তুতির জোয়ারে মাহমুদউল্লাহ
  • ‘পেইন-কিলার’ মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে শুভকামনা হৃদয়ের
  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর
  • যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা
  • তিনি ফিরলেন, এক ম্যাচ খেললেন, আবার অবসরে গেলেন