নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের ভিডিও প্রচার, গ্রেপ্তার ১
Published: 13th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে দায়েরকৃত মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামি জালাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের সখেরগাঁও গ্রামে ধর্ষণ করা হয়। তবে ধর্ষণের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে ব্লাকমেইল করে গৃহবধূকে বার বার ধর্ষণ করা হয়।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে ভিকটিম (৩৫) বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, সখেরগাঁও গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে জালাল হোসেন (৪০), সেলিম (৪২) ও সোহেল (৩৫)। পুলিশ প্রধান আসামি জালাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পারিবারিক কলহের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত মামলায় ওই গৃহবধূর স্বামীকে প্রধান আসামি করে ভয়ভীতি দেখায় আসামি জালাল। এ সময় মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জালাল ফোনে কথা বলার প্রস্তাব দেয় ওই গৃহবধূকে। ফোনে কথা বলতে বলতে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার এক পর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফাঁকা পেয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন জালাল। পরবর্তীতে মামলা খারিজের কথা বলে নরসিংদীর হোটেলে নিয়ে যান এবং পুনরায় ধর্ষণ করেন। মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও বাকি আসামিদের সরবরাহ করেন এবং তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে থাকেন। পাশাপাশি বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য গৃহবধূর কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে গৃহবধূকে আবারো ধর্ষণ করেন জালাল।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/অনিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জৌলুশ হারিয়েছে দিনাজপুরের কড়াই বিল, এবার কাটা পড়ল ৬ শতাধিক গাছ
দিনাজপুরে রামসাগর, সুখসাগর, শালবনের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আরেকটি স্থান কড়াই বিল। অতিথি পাখিদের কলকালিতে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। ৫৬ একর আয়তনের বিলটি স্থানীয় মানুষের ধান ও মাছের বড় উৎস। স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে বিলের মাঝবরাবর প্রায় ২৮ একর (পাড়সহ) আয়তনের পুকুর খনন করা হয়। পাড়ে লাগানো হয় কয়েক হাজার ফলদ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের গাছ। বিল ও পুকুরের সৌন্দর্য উপভোগ এবং অতিথি পাখিদের দেখতে ভিড় করতেন দর্শনার্থীরা। এখন বিলে পানি নেই, কাটা হয়েছে পাড়ের গাছগুলো। দর্শনার্থীরাও মুখ ফিরিয়েছে।
দিনাজপুর শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বিরল উপজেলার কড়াই বিল। সবশেষ গত সোমবার পুকুরপাড়ের ৬ শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কাটা পড়েছে। বিরল থানা মুক্তিযোদ্ধা হাঁস-মুরগি ও পশু পালন খামার সমবায় সমিতির নেতারা নিয়মবহির্ভূতভাবে এসব গাছ কেটেছেন বল অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে কেটে ফেলা গাছগুলো জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে সমিতির নেতাদের দাবি, এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।
গাছ কাটার ঘটনায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে গাছ চুরির অভিযোগে একটি মামলাও করেছেন। মামলায় দুজনের নাম দিয়ে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন বিরল উপজেলার উসমান গণির ছেলে আইবুর রহমান (৬৮) এবং সদর উপজেলার পশ্চিম রামনগর গোবরাপাড়া এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জোবাইদুর রহমান (৫৫)।
বিরল থানা মুক্তিযোদ্ধা হাঁস-মুরগি ও পশু পালন খামার সমবায় সমিতি সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ সালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মিস্টার জর্জের নেতৃত্বে সমবায় সমিতি গঠন করে বিলটি সরকারের কাছে ইজারা নেন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দিনাজপুরে আসলে ওই সমিতিতে অনুদান দেন এবং খালকাটা কর্মসূচির আওতায় এই পুকুর খনন করা হয়। পাড়ে লাগানো হয় ফলদ-বনজ ও ফুলের গাছ। সমিতির সদস্যরা পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থায়ীভাবে পুকুরের মালিকানা পায়। তবে কয়েক বছর পরে প্রশাসন ইজারা বা মালিকানা বাতিল করলে মুক্তিযোদ্ধারা আদালতে মামলা করেন। সেই মামলা এখনো চলমান। পুকুর ও গাছের ফল বিক্রি করে বিলের উন্নয়ন করাসহ ঈদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।
স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে বিলের মাঝবরাবর খনন করা পুকুরটির আয়ত প্রায় ২৮ একর। বুধবার সকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় কড়াই বিলে