চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন- সাব্বিরুল হাসান ও মারুফ হাসান। সাব্বিরুলের দুই দিন ও মারুফের একদিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মফিজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহানগর ডিবি পুলিশ দুইজনের সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত একজনের দু’দিন ও অন্যজনের একদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়েছে। ৮ ও ১০ মার্চ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তখন থেকে তারা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তারা হিযবুতের পোস্টার লাগানো ও মিছিল করার সময় গ্রেপ্তার হন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ