কুবিতে আপত্তিকর অবস্থায় ৪ বহিরাগত আটক
Published: 13th, March 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আপত্তিকর অবস্থায় বহিরাগত চারজনকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে আটক করার পর পুলিশের সহযোগিতায় তাদের অভিভাবক ডেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সহকারী প্রক্টর মামুন চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ আসলে তাদের অভিভাবকদের ডাকা হয়।
আরো পড়ুন:
কুবিতে প্রশ্নফাঁস: অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
কুবির শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
এরপর অভিভাবকদের থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন ছেলে এবং দুইজন মেয়ে। চারজনই এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং বলরামপুরের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, রবিবারের মধ্যে সংশোধিত অধ্যাদেশ
ধর্ষণের ঘটনাগুলো দ্রুত উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রেখে সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন অধ্যাদেশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয় সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘গত দুইদিন আপনাদের বলেছি, আমরা একটা নতুন আইন করছি। নতুন আইনের প্রাথমিক খসড়া হয়েছে। অনেক স্টেকহোল্ডার আছে, ওনাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। আমরা আশা করছি, আগামী রবিবার, খুব দেরি হলে সোমবার, আশা করছি রবিবারই নতুন আইন প্রণয়ন করে ফেলব।’’
‘‘নতুন আইনে কী থাকছে সেগুলো আপনাদের আগেই বলেছি। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে শুধুমাত্র শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনাগুলো দ্রুত উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করার জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে যাচ্ছি।’’
‘‘সংশোধিত আইনে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান থাকবে। এ ট্রাইব্যুনালের কাজ হবে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচার করা, যাতে এটা দ্রুত করা যায়। যাতে এতে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রের মনোযোগ দেওয়া যায়’’, যোগ করেন উপদেষ্টা।
মাগুরার শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনাল গঠিত হতে হতে এই ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়ে যাবে। আশা করছি, নিরবচ্ছিন্ন শুনানির মাধ্যমে বিচার হবে, এখানে আর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের দরকার হবে না।’’
সংশোধিত আইনের গেজেট হলে প্রক্রিয়াগত কিছু কাজ সম্পন্ন পর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
বিচারক যদি মনে করেন তবে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার বিচার কাজ ও তদন্ত কাজ চালাতে পারবেন- সংশোধিত আইনে এমন বিধান রাখা হচ্ছে।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে তদন্ত ও বিচারের সময় কমিয়ে অর্ধেক করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জামিনের বিধান কঠোর হচ্ছে।
খসড়া আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের মামলা তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ার সময় ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, সংশোধিত খসড়া আইন অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা যাকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাকেই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা যাবে না।
বর্তমান আইনে রয়েছে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিন দেওয়া যেত। ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে কোন জামিন দেওয়া যাবে না- সংশোধিত আইনে এমন বিধান রাখা হচ্ছে বলেও ইতোমধ্যে জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ