Risingbd:
2025-03-13@16:09:20 GMT

প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন

Published: 13th, March 2025 GMT

প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বোলাররা আরেকটি দিন রাঙিয়েছেন। তিন মাঠে তিন খেলায় ব্যাটসম্যানরা স্রেফ ধুকেছেন। রান হয়নি কোনো ম্যাচেই।

সাভারের বিকেএসপিতে শাইনপুকুর মাত্র ১৬১ রান করতে পারে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে। পাশের মাঠে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায়। এছাড়া মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্স করতে পারে ২২৮ রান।

গাজী গ্রুপ ১৯৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে। অগ্রণী ব্যাংক ৫ উইকেটে হারায় ধানমন্ডি ক্লাবকে। এছাড়া গুলশান জয় পায় ৬ উইকেটে।

আরো পড়ুন:

আগের ম্যাচে ৪২২, এবার ১৫২ রানে অলআউট!

মাহফুজুরের স্পিন বিষে নীল পারটেক্স

গাজী গ্রুপের জয়ের নায়ক স্পিনার শামীম মিয়া। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ৩ উইকেট পেয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে শাইনপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জুবায়ের হোসেন। ২৯ রান আসে অনিক সরকারের ব্যাট থেকে।

বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও গাজী গ্রুপ ছিল এগিয়ে। দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ৫০ ও এনামুল হক বিজয় ৫২ রান করেন। সালমান হোসেন ইমন ২৩ ও শামসুর রহমান ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

ধানমন্ডি ক্লাবকে গুড়িয়ে দেন পেসার রবিউল হক। অগ্রণী ব্যাংকের ডানহাতি পেসার রবিউল ১৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও ধানমন্ডি ক্লাব পেরে ওঠেনি। মইন খান দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। এছাড়া নুরুল হাসান ২২, সানজামুল ইসলাম ১৮ রান করেন। ফজলে মাহমুদ ১, আশিকুর রহমান শিবলি ২ ও ইয়াসির আলী ১ রান করেন।

অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মার্শাল আইয়ুব। ৯২ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। এছাড়া তাইবুর ২২, সাদমান ১৮ রান করেন।

মিরপুরে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়েছেন পেসার আসাদুজ্জামান পায়েল। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন। তার রঙিন দিনে তিন অঙ্কের দেখা পাননি অমিত মজুমদার। ১০৮ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় অমিত ৮৮ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক আল-আমিন ২৮, মাহমুদুল হাসান ২৩ রান করেন। শেষ দিকে আরিফুল হকের ৪০ রানে রূপগঞ্জ টাইগার্সের স্কোর দুইশ পেরিয়ে যায়।

আসাদুজ্জামান পায়েলের ৪ উইকেট বাদে ৩ উইকেট পেয়েছেন নিহাদুজ্জামান। ১টি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান ও ফরহাদ রেজা।

লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম রানের দেখা পান। জাওয়াদ ৬৭ ও আজিজুল ৪০ রান করেন। তিনে নামা খালিদ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। এছাড়া নাঈম ইসলাম ২১, ইফতেখার ইফতি ২৫ ও হাবিবুর শেখ মুন্না ২৪ রান করেন। তাতে অতি সহজেই জয় পায় গুলশান।

চার রাউন্ড শেষে রূপগঞ্জ টাইগার্স এখনও জয়ের মুখ দেখেনি। ধানমন্ডি ক্লাবের এটি চার ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয়। গুলশান চার ম্যাচে দুটি করে জয় ও পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন র রহম ন ধ নমন ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গত বছর ৭৪৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে প্রাইম ব্যাংক

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ব্যাংক হিসেবে ২০২৪ সালের শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে প্রাইম ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছরের শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় লভ্যাংশ প্রদানের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়।

প্রাইম ব্যাংক গত বছরের জন্য যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে গত বছর লভ্যাংশের পরিমাণ আড়াই শতাংশ বেড়েছে।

প্রাইম ব্যাংক জানিয়েছে, গত বছর ব্যাংকটির প্রকৃত মুনাফা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬১ কোটি টাকা বা ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটি প্রকৃত মুনাফা করেছে ৭৪৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ৪৮৪ কোটি টাকা। মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় শেয়ারপ্রতি আয়ও (ইপিএস) বেড়েছে প্রাইম ব্যাংকের। গত বছর শেষে ব্যাংকটি ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫৮ পয়সায়। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির ইপিএস ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছর প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে পাওয়া সুদ আয়। গত বছরের প্রথম ৯ মাসের হিসাবে ব্যাংকটির বিনিয়োগ আয় ছিল ৬৯৩ কোটি টাকা। গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই ৯ মাসে সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগে আয়ের দিক থেকে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের একটি ছিল প্রাইম ব্যাংক। বছর শেষে বিনিয়োগের এই মুনাফার কারণে প্রাইম ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফার বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

প্রাইম ব্যাংক আরও জানিয়েছে, গত বছর শেষে ব্যাংকটির মোট সম্পদ প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকায়। ঘোষিত লভ্যাংশের জন্য ব্যাংকটি রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করেছে ১০ এপ্রিল। ওই দিন যাঁদের হাতে ব্যাংকটির শেয়ার থাকবে, তাঁরাই ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। আর এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ মে। ওই সভায় অনুমোদনের পর ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ