বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য তাঁর ৫৭ বার ফাঁসি হওয়া উচিত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় খুলনা বিভাগের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি ও অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনা আক্রোশের রাজনীতি করতেন। আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের তিনি গুম করেছেন; খুন করেছেন। বিভিন্নভাবে অত্যাচার জুলুম নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছিলেন। একই সঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন খুনি শেখ হাসিনাসহ তাঁর সহযোগীরা। এখন সেই সব তথ্য বেরিয়ে আসছে।’

বিএনপির গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশ এখন ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। ফ্যাসিস্ট ও খুনি শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের হারিয়েছি। অনেক নেতা গুম হয়েছেন। সর্বশেষ ছাত্র–জনতার রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা গুম হয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

শেখ হাসিনার আর দেশে ফেরত আসার সুযোগ নেই দাবি করে তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়েছে। দেশ প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক ধারার দিকে ধাবিত হচ্ছে। গণহত্যার বিচার হচ্ছে। শেখ হাসিনারও বিচার হবে। এই বাংলাদেশে খুনি শেখ হাসিনার ফিরে আসার সুযোগ নেই। তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি।

খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ছাত্রদলের সহসভাপতি আবু আফসান ইয়াহইয়া।

সভায় খুলনা বিভাগের ছয় জেলা যশোর, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া বিএনপি ও অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যেরা মতামত দেন। অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান যশোর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধান অতিথি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

গত বছর ৭৪৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে প্রাইম ব্যাংক

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ব্যাংক হিসেবে ২০২৪ সালের শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে প্রাইম ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছরের শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় লভ্যাংশ প্রদানের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়।

প্রাইম ব্যাংক গত বছরের জন্য যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে গত বছর লভ্যাংশের পরিমাণ আড়াই শতাংশ বেড়েছে।

প্রাইম ব্যাংক জানিয়েছে, গত বছর ব্যাংকটির প্রকৃত মুনাফা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬১ কোটি টাকা বা ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটি প্রকৃত মুনাফা করেছে ৭৪৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ৪৮৪ কোটি টাকা। মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় শেয়ারপ্রতি আয়ও (ইপিএস) বেড়েছে প্রাইম ব্যাংকের। গত বছর শেষে ব্যাংকটি ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫৮ পয়সায়। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির ইপিএস ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছর প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে পাওয়া সুদ আয়। গত বছরের প্রথম ৯ মাসের হিসাবে ব্যাংকটির বিনিয়োগ আয় ছিল ৬৯৩ কোটি টাকা। গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই ৯ মাসে সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগে আয়ের দিক থেকে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের একটি ছিল প্রাইম ব্যাংক। বছর শেষে বিনিয়োগের এই মুনাফার কারণে প্রাইম ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফার বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

প্রাইম ব্যাংক আরও জানিয়েছে, গত বছর শেষে ব্যাংকটির মোট সম্পদ প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকায়। ঘোষিত লভ্যাংশের জন্য ব্যাংকটি রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করেছে ১০ এপ্রিল। ওই দিন যাঁদের হাতে ব্যাংকটির শেয়ার থাকবে, তাঁরাই ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। আর এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ মে। ওই সভায় অনুমোদনের পর ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ