Samakal:
2025-03-13@15:17:02 GMT

ফল আমদানির উৎসে কর কমল

Published: 13th, March 2025 GMT

ফল আমদানির উৎসে কর কমল

আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ কয়েক ধরনের ‘তাজা ও শুকনা’ ফল আমদানির উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে ‘তাজা বা শুকনা’ কমলালেবু, ‘লেবুজাতীয়’ ফল, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি।

গত ৯ জানুয়ারি যখন শতাধিক পণ্য ও সেবার বিভিন্ন পর্যায়ে শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়। ওই সময় ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে কোভিড পরবর্তী সময় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে প্রায় ১৩৫টি পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূণ্য ও তিন শতাংশ থেকে একবারে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। সে তালিকার বড় অংশই ছিল আমদানি করা ফল। ফলে গত কয়েক বছর ধরেই চড়া বিদেশি ফলের বাজার। এসব ফলের আরেক দফা দাম বাড়ে চলতি রমজান মাসের শুরুতে। কেজিতে ২৫ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুণতে হয় ক্রেতাদের।

রাজধানীর বাজারগুলোয় বর্তমানে প্রতিকেজি আপেল ৩২০ থেকে ৪২০, মাল্টা ২৮০ থেকে ৩০০, কমলা ৩০০ থেকে ৩৪০ এবং প্রতিকেজি আঙুর ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে এসব ফলে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।

মোটামুটি যত ধরনের শুল্ক–কর, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ছিল ১৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফল আমদ ন ল আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাহফুজ আলমের মন্তব‌্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন: জামায়াত

জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল ম‌র্মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত সম্প‌র্কে তার মন্তব‌্যকে মিথ‌্যা ও ভি‌ত্তিহীন দা‌বি ক‌রেছে দ‌ল‌টি।

বৃহস্প‌তিবার (১৩ মার্চ) দল‌টির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ দা‌বি ক‌রেন।

ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্যের জন্য মাহফুজ আলম দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তি‌নি।

আরো পড়ুন:

জামায়াতের নারী কর্মীদের ওপর হামলা, বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার

বরিশালের ৬টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

গোলাম পরওয়ার ব‌লেন, “গত ১২ মার্চ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার দীর্ঘ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি তার এ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্যে বিস্মিত।”

“মাহফুজ আলমের বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, তিনি জামায়াত সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও অসত্য বক্তব্য দিয়ে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর কারাবন্দি শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন।”

তি‌নি বলেন, “মাহফুজ আলমের স্মরণ রাখা উচিত যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। সে কারণে কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে সমালোচনা ও অসত্য বক্তব্য দেওয়ার কোনো নৈতিক ও বিধিগত অধিকার তিনি রাখেন না। রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হলে রাজনীতির ময়দানে এসে বক্তব্য দেওয়া সমীচীন। তার এ বক্তব্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

গোলাম পরওয়ার ব‌লেন, “মাহফুজ আলমের জানা থাকার কথা যে, শেখ মুজিবের আমলে যুদ্ধাপরাধের জন্য যে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল, তাতে যুদ্ধাপরাধের সাথে জামায়াতের কারো সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে কারণে শেখ মুজিব নিজেই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিয়েছিল এবং আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানী সৈন্যদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে ঐ সমস্যার সমাধান করে গেছেন।”

“জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েই তিনি তার নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসিয়ে জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল এবং তাদের দলীয় লোকদের দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী সাজিয়ে জামায়াত নেতাদের যে বিচার করেছিল তা দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি,” ব‌লেও দা‌বি ক‌রেন দল‌টির এই শীর্ষ‌নেতা।

গোলাম পরওয়ার ব‌লেন, “শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ বানিয়ে বিচারপতিদের ভয় দেখিয়ে যে বিচার করা হয়েছে তা ছিল বিচারের নামে একটি প্রহসন। তার প্রমাণ স্কাইপ কেলেঙ্কারি, সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য, মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য। এমনকি বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টে হাসিনা সরকারের ঐ বিচার গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, ১৯৭১ সালে জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধের সহযোগী হওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

“মাহফুজ আলমের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও অনুমান নির্ভর। তবে তার এ বক্তব্য কোনো রাজনৈতিক অসৎ অভিপ্রায় থেকে বা কোনো অপশক্তির ইন্ধনে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপরিণামদর্শী আকাঙ্ক্ষা থেকেও হতে পারে বলে দেশবাসী মনে করে।”

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের লেখার জবাবে জামায়াতের সে‌ক্রেটা‌রি জেনা‌রেল ব‌লেন, “আমি সুস্পষ্ট ভাষায় আরো জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের পূর্ণ অনুসারী। জামায়াতের আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা সম্পূর্ণ অবান্তর ও এখতিয়ার বহির্ভূত। জামায়াতে ইসলামী, ফরায়েজী জামায়াত, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলামের সাথে বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে। ১৯৮৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, চরমোনাইর পীর মাওলানা ফজলুল করিম ও খেলাফত মজলিসের নেতা শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক, জমিয়তে ওলামা ইসলামের নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন খান, নেযামে ইসলামের নেতা বিখ্যাত আলেম খতীবে আযম মাওলানা সিদ্দিক আহমেদ ও চট্টগ্রামের বাইতুশ শরীফের পীর মাওলানা আবদুল জব্বারসহ এ দেশের হক্কানী পীর এবং আলেমরা মিলে ইত্তেহাদুল উম্মাহ গঠিত হয়েছিল। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, মাহফুজ আলম না জেনে-বুঝেই জামায়াত সম্পর্কে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন।”

“আশা করি আমাদের এই বক্তব্যের পর তার মনের বিভ্রান্তি দূর হবে এবং তার ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্যের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ