গুরুতর আহত হয়েছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। পিকলবল খেলতে গিয়ে কপালে আঘাত পেয়েছেন ৫৬ বছরের এই অভিনেত্রী। তার কপালে ১৩টি সেলাই পড়েছে। পিঙ্কভিলা এ খবর প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভাগ্যশ্রীর একাধিক ছবি। একটি ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে আছেন ভাগ্যশ্রী। চিকিৎসক তার কপালে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে ভাগ্যশ্রীর কপালে ব্যান্ডেজ লাগানো দেখা যায়। প্রিয় অভিনেত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
আশির দশকের শেষ লগ্নে বলিউডে পা রাখেন ভাগ্যশ্রী। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমায় সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ওই সময়ে নতুন জুটি হলেও দর্শকদের মন কাড়েন তারা। অভিষেক চলচ্চিত্র বদলে দেয় ভাগ্যশ্রীর ভাগ্য। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে।
আরো পড়ুন:
১৯৪ কোটি বাজেটের সিনেমার আয় ১ হাজার ৩ কোটি টাকা
বাবা-মা সন্তানের বন্ধু হতে পারেন না: অভিষেক
ক্যারিয়ারের শুরুতেই সংসারী হন ভাগ্যশ্রী। তারপরও কাজে বেশ নিয়মিত ছিলেন। এক পর্যায়ে রুপালি জগতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। এখনো টুকটাক চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। কিন্তু অতটা সরব নন।
বয়স ৫৬ হলেও এখনো তার ছাপ পড়েনি ভাগ্যশ্রীর শরীরে। ২০২৩ সালে চারটি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সজিনি সিন্ধে কা ভাইরাল ভিডিও’। এটি পরিচালনা করেন মিখিল মুসালে। এরপর নতুন কোনো সিনেমার কাজ হাতে নেননি এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মা-ছেলে নিখোঁজ, অপরিচিত ব্যক্তি ফোনে বললেন ‘তারা ভালো আছেন’
রাজধানীর ওয়ারী থেকে এক নারী ও তার শিশুসন্তান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। তারা হলেন– লামিয়া তাসমেরী মুন (৩২) ও আহনাফ কবির ইনাফ (৭)। মঙ্গলবার দুপুরে ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে বের হওয়ার পর আর তাদের সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যায় একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে স্বজনকে বলা হয়, ‘তারা ভালো আছেন।’ এরপর সেই নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
লামিয়ার স্বামী হুমায়ুন কবির পুরান ঢাকার নবাবপুরে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তিনি সমকালকে জানান, ওয়ারীর যুগীনগর লেনে পরিবারের সঙ্গে থাকেন লামিয়া। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওয়ারী স্ট্রীটের তিন নম্বর গলির ইএলসি স্কুলে ইনাফের পরীক্ষা ছিল। এজন্য ছেলেকে নিয়ে তিনি স্কুলে যান। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মা–ছেলে স্কুলের সামনে থেকে হেঁটে অদূরে চৌরাস্তা পর্যন্ত যান। এই দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে এরপর তারা কোন দিকে গেছেন, নাকি কেউ তাদের তুলে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি লামিয়ার মা মনোয়ারা বেগমকে কল করে বলেন, আপনার মেয়ে ও নাতি ভালো আছে। পরে সেই নম্বরটির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হয়। দেখা যায়, বরিশালের হিজলার এক ব্যক্তির নামে সেটির নিবন্ধন রয়েছে। সেই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা। তবে কলটি করা হয়েছে ডেমরার ডগাইর এলাকা থেকে। এ বিষয়ে ওয়ারী থানা পুলিশ ও র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ সমকালকে বলেন, নিখোঁজ নারী–শিশুর সম্ভাব্য একটি অবস্থানের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের পর জানা যাবে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে।