রংপুরে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামির আত্মসমর্পণ, আদালত পাঠালেন কারাগারে
Published: 13th, March 2025 GMT
রংপুরের মিঠাপুকুরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণ মামলার আসামি রুহুল আমিন (৫৫) আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আদালত-১) রুহুল আমিন তাঁর আইনজীবী ফিরোজ কবিরের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের পরে তাঁর আইনজীবী আদালতের কাছে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামি রুহুল আমিনের আদালতে আত্মসমর্পণের পরে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো.
পুলিশ, ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রহুল আমিনের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্কুলের শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার জন্য রহুল আমিনের বাড়িতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফুল আনতে গিয়েছিল শিশুটি। তখন রুহুল আমিন তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শিশুটি পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার দিন দুপুরে মিঠাপুকুরের বৈরাতীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে তাঁরা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত জব্দ করেন।
আরও পড়ুনরংপুরে ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র হ ল আম ন হ ল আম ন র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিন শুনানি শেষ, আদেশ অপেক্ষমাণ
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় ২৩৯ বিডিআর সদস্যের জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন।
বৃহস্পতিবার আবু সাঈদ খান নামের এক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর পর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে মামলায় ২৮৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এ মামলায় ৮৩৪ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ১৭৮ জন।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, আসামিপক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় ৪৬২ জনের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্য মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ এক আসামির পক্ষে দুই বারও জামিন আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জামিন আদেশের বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চ আদালত একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। সেখানে নতুন করে তদন্ত হচ্ছে। তাই, আদালতের উচিত ছিল টাস্কফোর্সের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ও সাজার মেয়াদ পূর্ণ করা আাসামিদের জামিন দেওয়া।
গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন জন বিডিআর সদস্যকে জামিন দেন একই আদালত। পরে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
ঢাকা/মামুন/রফিক