দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হলেও জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়নি: আমান
Published: 13th, March 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান দ্রুত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হলেও জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়নি। জনগণের প্রত্যাশা রোডম্যাপের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন হবে। সংসদ নির্বাচন অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে। তারপর গণতান্ত্রিক সরকার হবে। সেই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’’
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে খুলনায় বিএনপির খুলনা বিভাগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের কথা বলছে, সেই সংস্কারের কথা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অনেক আগেই বলেছেন এবং পরে ৩১ দফায় দিয়েছেন।’’
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে নেতাকে বরণ করা নিয়ে সংঘর্ষ, বিএনপি কর্মীর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে সংঘর্ষ চলাকালে মৃত্যু, গুজব বলছে পুলিশ
তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, গুম, নির্যাতন করেছেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, ছাত্রনেতা সুমনসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার জন্য হাসিনার ৫৭ বার ফাঁসি হবে। অন্য হত্যা, গুম, খুনতো বাকি থাকল। আওয়ামী লীগের অবৈধ এমপি, মন্ত্রী কেউ ছাড় পাবে না, সবাই বিচারের আওতায় আসবে।’’
খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কৃষিবিদ শামীমুল ইসলাম, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা প্রমুখ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুটির দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে ক্ষুব্ধ জনতার আগুন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে শিশুটির মরদেহ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। মরদেহ মাগুরা পৌঁছানোর পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা হয়। এতে অংশ নেয় হাজারো মানুষ। পরে মরদেহ গ্রামে নেওয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় লোকজন। রাত সোয়া ৮টার সময় এই প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত ওই বাড়িতে আগুন জ্বলছিল। কাউকে সেখানে আগুন নেভাতে দেখা যায়নি।
কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আট বছর বয়সী শিশুটি। হাসপাতালের শিশুরোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল তার। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ও বৃহস্পতিবার আরও দু‘বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শিশুটির।
পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। অভিযুক্তরা হলেন, শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগম (৪০)। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।