পটুয়াখালীতে ডাকাতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তিনি প্রায় ২২ বছর পলাতক ছিলেন। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের গুদারাঘাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই ব্যক্তির নাম খলিলুর রহমান (৪৫), এলাকায় তিনি খলিল প্যাদা নামে পরিচিত। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার তাফালবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটুয়াখালী র‍্যাব-৮–এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা।

র‍্যাব জানায়, ২০০৩ সালে একটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত হন খলিলুর। এ ঘটনায় মামলা হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বরে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালত দণ্ডবিধি-৩৯৭ ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তাঁর অনুপস্থিতিতে ২০০৯ সালের ১৮ মার্চ পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। আদালত থেকে পরোয়ানা জারির ১৬ বছর পর র‍্যাব-৮–এর অভিযানে গ্রেপ্তার হলেন খলিল।

র‍্যাব-৮ জানায়, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় খলিলুর পরিচয় লুকিয়ে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় মুদিদোকান চালাচ্ছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পটুয়াখালীতে এনে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে মৃত কর্মচারীর পেনশনের অর্থ আত্মসাৎ

চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মৃত কর্মচারী মোজাফফর আহমেদের পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের একটি টিম বিদ্যুৎ অফিসে অভিযান চালায়। নথিপত্র পর্যালোচনা করে মৃত র্কমচারীর পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পান। মোজাফফর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা। 

অভিযান চালানো দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বলেন, মৃত মোজাফফর বিদ্যুৎ বিভাগে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট নাবাক ইমাম উদ্দিনের নামে একটি জাল পাওয়ার অব অ্যর্টর্নি তৈরি করে পেনশনের ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার সত্যতা পেয়েছি। 

দুদক চট্টগ্রাম-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুদকের এনর্ফোসমন্টে অভিযান পরিচালনা করে মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত জালিয়াতি করে নমিনি কর্তৃক এক অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রকে টাকা উত্তোলনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু রেকর্ডপত্রাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযান টিম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ