মাগুরায় ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিচারের দাবিতে উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেটিজেনদের পাশাপাশি তারকারা ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের বিচারের দাবি জানিয়েছে। 

প্রতিবাদ জানিয়ে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আর নেই! আমরা বাকরূদ্ধ ও বিক্ষুব্ধ! আমরা শিশুটির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ও লজ্জিত!’

বিচার দাবি করে ববি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষক-খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’

শেষে তিনি লিখেছেন, ‘শিশু ধর্ষকদের ১ সেকেন্ড ও বেঁচে থাকার অধিকার নাই।’

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। অবশেষে আজ মারা যায় সে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ র

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা জুড়ে দুই দিনে ৬ লাশ, জনমনে আতংক

নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।  জেলায় একের পর এক ঘটছে অঘটন। ফলে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। গত ২৪ ঘন্টায় নবজাতকসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলো, রূপগঞ্জের  দেলোয়ার (৩০) ও অঞ্জাত নবজাতক ও সোনারগাঁয়ের  বৃদ্ধ সিরাজুল (৭০)। শনিবার (১২ এপ্রিল) জেলার সোনারগাও এবং রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।  

এরআগে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া বড়বাড়ি এলাকার মরহুম আক্তার হোসনের ভাড়া বাড়ির পাশ থেকে মা-শিশু সন্তানসহ তিনজনের বস্তাবন্দি খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এনিয়ে গত দু’দিনে ছয় লাশ লাশ উদ্ধারের ঘটনাতো জেলা জুড়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আতংক। আর   সচেতন মহল বলছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।  

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের এক নম্বর সেক্টরের একটি প্লট থেকে দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় লাশের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানার শোলাকিয়া এলাকার আবু সাঈদের পুত্র।  

পুলিশের ধারণা, রাতের যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ওই যুবককে হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে।

অপরদিকে বেলা ১১টার দিকে দাউদপুরে ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের খৈশার এলাকায় পরিত্যক্ত ভিটি থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকায় মেঘনা শাখা মেনিখালি নদীর পাশের বালুর মাঠের ঝোপ থেকে বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম (৭০) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিকেলে তিনি নিখোঁজ হন। নিহত সিরাজুল ইসলাম একই ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা। নিখোঁজের পর তার ছেলে শামীম রেজা বাদী হয়ে ৭ এপ্রিল সকালে সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। 

পুলিশের ধারণা, বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে স্ট্রোক কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ে আর উঠতে পারেননি।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, পুলিশ উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক পৃথক আইনীব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জেলা জুড়ে দুই দিনে ৬ লাশ, জনমনে আতংক