বাংলাদেশ নিয়ে গণমাধ্যমের ভিত্তিহীন বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
Published: 13th, March 2025 GMT
দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে এবং অন্যান্য কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার অভিযোগে ভিত্তিহীন গল্পের ধারাবাহিকতা কেবল ভিত্তিহীনই নয় বরং গভীরভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনও। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা হস্তক্ষেপ না করার নীতিগুলোকে ক্ষুণ্ন করে এবং একই সঙ্গে জড়িত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট করে।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব কথা জানিয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তার সশস্ত্র বাহিনী, যারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, জনগণ এবং সংবিধান রক্ষার জন্য পেশাদারিত্ব এবং প্রতিশ্রুতি ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শন করেছে। এই চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনগুলো, যা সম্পূর্ণরূপে তথ্যপ্রমাণবিহীন, এমন একটি এজেন্ডা দ্বারা চালিত বলে মনে হয় যা সত্যের চেয়ে অনুমানকে অগ্রাধিকার দেয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘ টিমের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের ঘটনা পুরোনো ভিডিও: বাংলা ফ্যাক্ট
বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের ইফতার অনুষ্ঠিত
এই ধরনের বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে, এই সংবাদমাধ্যমগুলো কেবল সাংবাদিকতার অখণ্ডতাকেই বিপন্ন করে না বরং দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকিও তৈরি করে। গণমাধ্যম সংস্থাগুলোর জন্য নীতিগত সাংবাদিকতা মেনে চলা, তথ্য যাচাই করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করে এমন অযাচাইকৃত দাবি প্রচার করা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’
মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।
পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।