শিবির নেতা নোমানী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিনোদনপুর বাজারে এসে সমাবেশ করা হয়।
এ সময় তারা ‘বিচার বিচার বিচার চাই, নোমানী হত্যার বিচার চাই’, ‘শিবিরের একশন ডাইরেক্ট একশন’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই নোমানী হত্যাকারীর ফাঁসি চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আজকের এই দিনে নোমানী তোমায় মনে পরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
রাবি নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ
লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সমাবেশে রাবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “২০০৯ সালের ১৩ মার্চ নোমানী ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অন্যতম ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য আব্দুস সোবহান, প্রক্টর চৌধুরী মো.
তিনি আরো বলেন, “আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা দেখেছি নোমানী হত্যা মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছিল। প্রশাসন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা রিনিউ না করে, তাহলে আমরা আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামব।”
রাবি শাখা ছাত্রশিবির সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, “দেশকে অস্থিতিশীল ও ভারতের তাবেদারি করার জন্য লিয়াজু করে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। এ দেশে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য তারা প্রথমে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে। দেশের মেধাবী ছাত্রনেতাদের হত্যা করেছে, দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার ৭ মাসে পার হলেও এখনো কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না।”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা তৈরি করে। এরই ধারাবাহিকতায় নোমানী ভাইকে হত্যা করে। এরপরও আমরা দমে যাইনি। বরং আমরা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে এ ময়দানে ফিরে এসেছি।”
তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু আজ তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। রাবি শিক্ষার্থীদের ইসলামের প্রতি ভালোবাসাকে কেউ কখনো দমাতে পারবে না, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকের বাজনা ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গেয়ে নতুন বছরকে বরণ
চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকাল ৬টায় শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে ঢাকের বাজনার তালে নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে মুকুল ফৌজ, আবৃত্তি পর্ষদ ও ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, মুকুল ফৌজের সংগঠক (প্রধান দরদী বোন) রাশেদা হাসনু আরা ও ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল আটটায় স্থানীয় চাঁদমারী মাঠে (ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়। সোয়া আটটায় সেখান থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা বর্ণিল সাজে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নতুন মুক্তমঞ্চ চত্বরে তিন দিনের বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চাঁদমারী মাঠ থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ সকালে নববর্ষের শোভাযাত্রা বের করা হয়