ছয় সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নে সংলাপের দরকার নেই: প্রেস সচিব
Published: 13th, March 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সংলাপের দরকার নেই। এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ই বাস্তবায়ন করতে পারে। এ বিষয়ে ৩০ পৃষ্ঠার একটি ডকুমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়গুলো তাদের মতো করে এগুলো বাস্তবায়ন করবে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রেস সচিব। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই ব্রিফ করা হয়।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশন (সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন) অনেকগুলো সুপারিশ জমা দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু সুপারিশ আছে, যেগুলো বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সংলাপের দরকার নেই। এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ই বাস্তবায়ন করতে পারে। এসব প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জন্য টাকার তেমন সংশ্লেষ নেই। তাই সেই সিদ্ধান্ত যাতে দ্রুত নেওয়া যায়, সে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে ৩০ পৃষ্ঠার একটি ডকুমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। এসব সিদ্ধান্তের কথা প্রতিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে এবং তারা তাদের মতো করে এগুলো বাস্তবায়ন করবে।
প্রেস সচিব বলেন, স্বৈরাচারের সময় ৫৬০টি মডেল মসজিদ করা হয়েছিল। এতে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। এতে অনেক অনিয়মের কথা উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে ধর্ম মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে।
শূন্য পদে নিয়োগে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আগামী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জানাবেন কী পরিমাণ নিয়োগ করা যেতে পারে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন। তাঁরা আশা করছেন, সেখানে সম্মেলনে যোগদান এবং অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
হারিকেন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে না কেন
গোলাকার পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশের ঠিক মাঝবরাবর যে রেখা পূর্ব–পশ্চিমে সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। আর এই নিরক্ষরেখাকে কেন্দ্র করে বেশ মজার একটি ঘটনা ঘটে থাকে। হারিকেন প্রচণ্ড গতিতে সামনে–পেছনে এগিয়ে নিরক্ষরেখার কাছাকাছি গেলেও কখনোই তা অতিক্রম করে না।
হারিকেন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পানি থেকে তাপ চুষে নিয়ে শক্তিশালী আকার ধারণ করে। হারিকেন উষ্ণ, আর্দ্র বায়ুর মাধ্যমে চালিত একটি বিশাল ঘূর্ণমান টারবাইনের মতো। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক এলাকায় এই প্রাকৃতিক ঘটনা তৈরি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, যেখানে পানির তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। অদ্ভুতভাবে দেখা যায়, হারিকেন খুব কমই নিরক্ষরেখার কাছে যায় আর তা কখনোই অতিক্রম করে না।
হারিকেনমুক্ত নিরক্ষীয় অঞ্চলের পেছনে রয়েছে কোরিওলিস প্রভাব। এই শক্তি আমাদের বায়ুমণ্ডলের ওপরে প্রভাব তৈরি করে। পৃথিবী মেরুর তুলনায় নিরক্ষরেখায় দ্রুত ঘোরে। দ্রুত ঘোরার কারণে বায়ুপ্রবাহ ও ঝড় উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁ দিকে বেঁকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট-লোওয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ম্যাথিউ বারলো জানিয়েছেন, দূরত্ব হিসেবে নিরক্ষরেখা থেকে সবচেয়ে কাছের হারিকেন প্রায় ১০০ মাইল দূরে সংগঠিত হতে দেখা যায়। সাধারণত বায়ুপ্রবাহের কারণে এরা নিরক্ষরেখা থেকে দূরে সরে যায়। আমরা হারিকেন নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা অতিক্রম করতে দেখি না। এই রেখা অতিক্রম করতে হলে এদের ঘূর্ণন বন্ধ করে বিপরীত দিকে যেতে হবে। আর তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যদিকে ঘুরতে হবে তখন। যদি কখনো হারিকেনের পক্ষে এই রেখা কাটানোর সুযোগ হয় তখন তাকে অনেক শক্তিধর হতে হবে। কোরিওলিস বলের বিপরীতে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে তখন। তাত্ত্বিকভাবে এই বিষয়টি সম্ভব হলেও বাস্তবে বেশ অসম্ভব বলা যায়। বাস্তবে এমনটা কখনো দেখা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি