মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকেরা আজ বেলা ১টার দিকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। সেদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (পিআইসিইউ) থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। তাকে ঢাকার সিএমএইচের পিআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। শিশুটির চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।

১ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায় শিশুটি। ৫ মার্চ দিবাগত রাতে ওই বাসায় ধর্ষণের শিকার হয় সে। ওই ঘটনায় ৮ মার্চ শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক দিনমজুর। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকায় তাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় দুজন দিনমজুর অপহরণকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অপহৃত দেলোয়ার হোসেন (২৫) মারিশবনিয়া মৃত আব্দুল মালেক মিস্ত্রির ছেলে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, সকালে তিন জন দিনমজুর লাকড়ি আনতে পাহাড়ে গেলে একদল অপহরণকারী তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় এক জনকে অপহরণ করা হয় এবং বাকি দুই জন দৌড়ে পালিয়ে আসে।

তিনি বলেন, “এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবগত করেছি।”

মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানান, মারিশবনিয়া পাহাড়-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই অপহরণ হয়। তাই, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করা জরুরি।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ