মাগুরায় ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছে। এ ঘটনায় আসামিদের বিচারের দাবিতে উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেটিজেনদের পাশাপাশি তারকারা ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের বিচারের দাবি জানিয়েছে। তারকারা পোস্ট দিয়ে সেই অপরাধীদের ফাঁসি চেয়েছেন।

ছোটপর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক অপরাধীদের ফাঁসি চেয়ে লিখেছেন, ‘আগামী তিনদিনের মধ্যে আছিয়ার ধর্ষককে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে ফাঁসি দেয়া হোক। ধর্ষণের বিচারে দৃষ্টান্ত তৈরি করুক বাংলাদেশ।’

অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের কথায়, ‘আছিয়ার মৃত্যু শুধু ই একটা মৃত্যু নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর প্রতিটি নারীর আজীবনের অভিশাপ। প্রতিটা সুস্থ পুরুষের নিজের মেয়ের কাছে আমৃত্যু ছোট হয়ে থাকা।’

প্রসঙ্গত, আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। অবশেষে আজ মারা যায় সে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ র

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসির পরীক্ষা হলে বই ও মোবাইলফোন, ৯ শিক্ষকে অব্যাহতি

বাগেরহাটে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কক্ষে বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৯ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০১, ১১০ ও ২১০ নম্বর কক্ষে টেবিলের উপরে ও নিচে ব্যাগ, বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. শহিদুল ইসলামের সই করা আদেশে ৯ শিক্ষককে ২০২৫ ও ২০২৬ সালের জন্য পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রটিতে ১১টি বিদ্যালয়ের ৪৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৯ শিক্ষক হলেন- চিপা বারইখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ ও নিমাই চন্দ্র রায়। জিউধরা সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, তাপস কুমার মজুমদার, শহিদুল ইসলাম ও সোহেলী পারভিন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলি দেবনাথ, নাসির উদ্দিন খান ও অম্বিকাচরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শফরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষে বই ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ওই কক্ষগুলোতে দায়িত্বে থাকা ৯ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ