বান্দরবানে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ১
Published: 13th, March 2025 GMT
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে খিয়াং সম্প্রদায়ের ১৭ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরী ধর্ষণের মামলায় মো. জামাল হোসেন (২৬) নামে এক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রোয়াংছড়ি থানায় ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে মো. জামাল হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মো. জামাল হোসেন পটুয়াখালী জেলার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। জামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান আর্মি পাড়ায় বসবাস করে আসছেন। তিনি রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, রোয়াংছড়ি সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের খামতাং পাড়ার মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী সবসময় পাড়ার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। গত সোমবার (১০) মার্চ সন্ধ্যায় সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মো.
এ ঘটনা পাড়ায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজে নিয়জিত অন্য শ্রমিকরা তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেন। পাড়াবাসী অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে একটি স্কুলে আটকে রেখে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই জানান, বাবার মৃত্যুর পর তার বোন মানসিকভাবে আরো বেশি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে পাড়ার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। ধর্ষক জামাল হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।
রোয়াংছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশেকুল ইসলাম বলেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনার পরের দিন অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
ঢাকা/চাইমং/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনুশোচনা নেই, প্রতিটি অভিজ্ঞতা ছিল একটি শিক্ষা: বাঁধন
বর্ষবরণ উপলক্ষে নানা আয়োজন নিয়ে আজ বর্ণাঢ্য উৎসবে মেতে উঠেছে সারা দেশের মানুষ! সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দিবসটি উদযাপনে ব্যস্ত দেশের তারকারাও। বাংলা নতুন বছরের শুরুর দিনে অন্যরকম বার্তা দিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সম্পর্কে একটি পোস্ট করেছেন বাঁধন। যেখানে জানিয়েছেন, বেশকিছু দিন ধরে ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে কিছুটা দূরে থাকার কথা।
বাঁধন লিখেছেন, ‘হ্যালো, পৃথিবী! শুভ নববর্ষ! শুধু বলতে চাই, আমি এখনও এখানেই আছি। এখনও আমার মায়ের বাড়িতেই থাকি এখনও আমার বাবার গাড়ি চালাই। বাইরে জীবন সহজ, কিন্তু ভেতরে নীরবে ভাঙাগড়া চলে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি কিছুদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে আছি। সত্যি বলতে, এটি আমাকে শান্তি এনে দিয়েছে। আমি নিজ হাতে তৈরি হওয়া একজন মানুষ। যে পথে হেঁটেছি তা সহজ ছিল না, তবে এটি একান্তই আমার।’
বাঁধন বলেন, ‘আমার ভুলগুলো স্বীকার করি এবং আমার বিকাশকে সম্মান করি। আমার প্রতিটি সফলতা আমি অর্জন করেছি। অন্যদের মতামত আমাকে বিঘ্নিত করতে পারে না। আমি জানি, আমি কে এবং এখানে পৌঁছাতে কী কী করতে হয়েছে।’ কোনো অনুশোচনা নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা ছিল একটি শিক্ষা, প্রতিটি পদক্ষেপ গল্পের একটি অংশ, যা আমাকে আজকে আমি হতে সাহায্য করেছে।’