বন্ধু দেশ গাম্বিয়ার কাছে আরো বিনিয়োগ চান বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 13th, March 2025 GMT
বন্ধু দেশ গাম্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করে দেশটিকে আরো বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদুয়া টাঙ্গারার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বৈঠকে এই আহ্বান জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন ও বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে আসছেন মার্চের মাঝামাঝি
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গাম্বিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ দেশের মানুষের মনে গাম্বিয়ার জনগণের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা তৈরি হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার ট্রেড ভলিউম ছোট। উভয় দেশই তাদের রপ্তানি বাড়াতে পারে। বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়ন দুদেশের জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে গাম্বিয়াকে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান রাখেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.
বাংলাদেশ থেকে সামুদ্রিক হিমায়িত মাছ আমদানি ও সেদেশের চিনাবাদাম বাংলাদেশে রপ্তানির ইচ্ছে প্রকাশ করেন টাঙ্গারা।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার এবং অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, বাংলাদেশে নিযুক্ত গাম্বিয়ার অনাবাসিক হাইকমিশনার মুস্তফা জাওয়ারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. টাঙ্গারা তিন দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ২টায় ঢাকায় পৌঁছান।
ঢাকা সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। আরো কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সূচি রয়েছে তার।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা চেম্বারের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
ড. টাঙ্গারার ঢাকা সফরকালে দুই দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারকে ২০১৯ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) বিচারের মুখোমুখি করে গাম্বিয়া। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধ করে তাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে গাম্বিয়ার এই উদ্যোগ ঢাকা কৃতজ্ঞতাবন্ধনে আবদ্ধ করে।
আসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার করার বছরে প্রথমবার ঢাকা সফর করেছিলেন ড. টাঙ্গারা।
আইসিজে হলো জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ; ১৯৪৫ সালে গঠনের পরের বছর থেকে এই আদালত কার্যকর। স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে এই আদালত।
গাম্বিয়া তাদের ৪৬ পৃষ্ঠার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের আবাস ধ্বংসের কথা তুলে ধরে। সেই মামলার বিচারকাজ চলছে।
ঢাকা/হাসনাত/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ণ জ য উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে সড়কে নির্মিত অবৈধ আট গেট গুঁড়িয়ে দিল ডিএনসিসি
মিরপুরের রূপনগরে সড়কে অবৈধভাবে নির্মিত আটটি গেট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর সেকশন-২ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার বিভিন্ন রোডে অবৈধভাবে নির্মিত গেটগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়া ফুটপাত ও রাস্তার প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকান ও হকার উচ্ছেদ করে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। ফুটপাত দখল করে দোকান পরিচালনা করায় একটি ফার্নিচারের দোকান ও একটি খাবারের দোকান মালিককে তিন হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এবং ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ যেকোনো স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ডিএনসিসির নিয়মিত কার্যক্রম। এটি চলমান আছে। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তাদের চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে রাস্তায় অবৈধভাবে নির্মিত গেটগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি। এই গেটগুলো বিনা অনুমতিতে লাগানো হয়েছে, যার ফলে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য সকল রাস্তার অবৈধ গেটগুলো অপসারণে আমাদের অভিযান চলবে।