ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এনামুল হকের ব্যাটে আরও একটি হাফ সেঞ্চুরি, জয় পেয়েছে তাঁর দল গাজী গ্রুপও। প্রথম ম্যাচে চমকে দেওয়া গুলশান ক্রিকেট ক্লাব মাঝে হারের পর আবার জয়ে ফিরেছে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হেরেছে ধানমন্ডি ক্লাব।শাইনপুকুরকে হারিয়ে তিনে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা এনামুল হক এবার টানা দুই ম্যাচে করলেন ফিফটি। আজ তাঁর দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৮ উইকেটে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শাইনপুকুর ৪৫.

২ ওভার খেলে ১৬১ রানে অলআউট হয়। দলটির হয়ে ৫৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জোবায়ের হোসেন। ৫০ বলে ২৯ রান আসে অনিক সরকারের ব্যাট থেকে। গাজী গ্রুপের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শামীম মিয়া ও তোফায়েল আহমেদ।  

১৬২ রানের লক্ষ্য ১৭.৫ ওভারেই তাড়া করে ফেলে গাজী গ্রুপ। দলটির হয়ে ওপেনিংয়ে নামা অধিনায়ক এনামুল ফিফটি করেন ২৬ বলে। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন দশম ওভারে। আরেক ওপেনার সাদিকুর রহমান করেন ৩০ বলে ৫০ রান। দুজনের বিদায়ের পর সালমান হোসেন (২৬ বলে ২৩) ও শামসুর রহমান (২৪ বলে ৩৩) অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

আবার বড় হার ধানমন্ডি ক্লাবের

দুই জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব শেষ দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে। আগের ম্যাচে গাজী গ্রুপের কাছে ১৭৫ রানের হারের পর আজ সাভারের বিকেএসপিতে ৫ উইকেটে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৩.৫ ওভারে ১১৫ রানে অলআউট হয় ধানমন্ডি ক্লাব। ৪০ বলে খেলে দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মঈন খান। এর বাইরে ব্যক্তিগত সংগ্রহ দুই অঙ্কে নিতে পারেন তিনজন— নুরুল হাসান (৩৪ বলে ২২), সানজামুল ইসলাম (২৪ বলে ১৮) ও জাকিরুল আহমেদ (৫০ বলে ১৯)। অগ্রণী ব্যাংকের পেসার রবিউল হক ৫.৫ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন, দুই উইকেট করে নেন আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমান।

রান তাড়ায় নেমে ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অগ্রণী ব্যাংকও। তবে শেষ পর্যন্ত মার্শাল আইয়ুবের ৯২ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ক্লাবটি। ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক পয়েন্ট তালিকার পাঁচে আছে, দুই জয় পাওয়া ধানমন্ডি এখন সাতে।

গুলশান ক্লাব আবার জিতল

প্রথম ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে হেরে যায় তারা। চতুর্থ ম্যাচে এসে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে দলটি। রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে রূপগঞ্জ। দলটির হয়ে ১০৮ বলে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন ওপেনার অমিত মজুমদার। ৩৫ বলে ৪০ রান আসে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে। ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন আসাদুজ্জামান।

রান তাড়ায় নেমে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় গুলশান। ৩৭ বলে ৪০ রান করে ফাহাদ হোসেনের বলে আজিজুল হাকিম ক্যাচ দিলে জুটি ভাঙে। ৭৫ বলে ৯ চারে ৬৭ রান করেন আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার।

এরপর কাজটা সহজই হয়ে গিয়েছিল গুলশানের জন্য। খালিদ হাসান ৮১ বলে ৪৩ রান করে আউট হন। আর ইফতেখার হোসেন ২৮ বলে ২৫ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর ন ধ নমন ড উইক ট দলট র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপিএলের তিন ম্যাচেই ব্যাটিং বিপর্যয়, তামিমের সেঞ্চুরি

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বিকেএসপির দুই ও মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করা দল বিপর্যয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা তিন দলই বড় জয় নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে মোহামেডানকে জিতিয়েছেন তামিম ইকবাল।  

বুধবার প্রাইম ব্যাংক বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শুরুতে ব্যাট করে ২৯.৫ ওভারে ১৫২ রান করে অলআউট হয়ে যায়। দলটির ওপেনার নাঈম শেখ ৮৩ বলে ৮১  রান করেন। চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। জবাবে ২৩.২ ওভারে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।  

রূপগঞ্জের ওপেনার তানজিদ তামিম ৪৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। তিনে নেমে সৌম্য সরকার ৪০ বলে ৫০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ব্যাট হাতে ১৬ রান করা ওপেনার সাইফ ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। 

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়ম শুরুতে ব্যাট করে ৪৮.৪ ওভারে ১৮৭ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৩২.৫ ওভারে ৯ উইকেটে জয় তুলে নেয় মোহামেডান। তামিম ৯৬ বলে ১০৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। নয়টি চার ও চারটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। চলতি ডিপিএলের ৪ ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। মোহামেডানের তাইজুল ইসলাম ৪টি ও আবু হায়দার ৩ উইকেট নেন।  

মিরপুরে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ৩৩.১ ওভারে মাত্র ১০০ রান করে অলআউট হয়। আবাহনী ১৪.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়। পারভেজ ইমন ৫৫ রান করেন। আবাহনীর তরুণ অলরাউন্ডার মাহফুজুর রাব্বি ৯ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগের ম্যাচে ৪২২, এবার ১৫২ রানে অলআউট
  • ডিপিএলের তিন ম্যাচেই ব্যাটিং বিপর্যয়, তামিমের সেঞ্চুরি