হাসিনাকে ফেরত চাওয়া চিঠির জবাব এখনো দেয়নি ভারত
Published: 13th, March 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে ভারত সরকারকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও এখনো দেশটি জবাব দেয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী? জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেওয়ার পর আমাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তনে ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক পত্রের জবাব দিয়েছে কি না এবং না দিয়ে থাকলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, ‘‘এটার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জবাব দিয়েছেন। তারপরও আমরা বলছি, আমরা ভারতের কাছ থেকে কোনো জবাব পাইনি। পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা পাবলিকলি একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।’’
প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।
চিঠির দেওয়ার পর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে আসছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতের চিঠির জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সে দেশেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হামজার পর আরও একজন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি সামিত
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সামিত সোম। অবশেষে আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানিয়ে দিলেন তিনি লাল-সবুজের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান।
সূত্র জানিয়েছে, সামিত হ্যাঁ বলায় রোববার থেকে তাঁর পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। এ বিষয়ে আজ বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সামিত আমাদের জানিয়েছে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। এখন পাসপোর্ট করতে কোন প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে, কত দিন লাগবে এসব জানতে চেয়েছে সে।’
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুন। সেই ম্যাচের আগেই সামিতের পাসপোর্ট ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় বাফুফে।
২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সামিতের জন্ম কানাডায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। ফলে তাঁর বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না মনে করছে বাফুফে। তবে সামিত কানাডার জাতীয় দলের হয়ে খেলায় ফিফার অনুমতির ব্যাপারও আছে।
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সামিতকে অভিষেক করানোর কথা ভাবছে ফুটবল ফেডারেশন। এ বিষয়ে সামিতও আগ্রহী জানিয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘সামিত বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচগুলোর বিষয়ে আমাদের থেকে জানতে চেয়েছে।
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কালাভরি এফসির মিডফিল্ডার সামিত। ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ৭টি ও ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন দুটি ম্যাচ।
প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয় ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামালের। এরপর জাতীয় দলে আসেন ফিনল্যান্ডে জন্ম নেওয়া তারিক কাজী।
সর্বশেষ গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, যা অতীতের সব উচ্ছ্বাসই ছাপিয়ে গেছে।