মোফাজ্জল হোসেন মায়া ও তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 13th, March 2025 GMT
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় সাবেক মন্ত্রী ও চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
দুদকের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার। আবেদনে বলা হয়, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঠিকাদারি কাজ থেকে কমিশন গ্রহণ, দলীয় পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর কাবিখাসহ বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাত ও বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র বিনষ্টসহ অনুসন্ধানকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা দরকার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ শত য গ ন ষ ধ জ ঞ দ শত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে মৃত কর্মচারীর পেনশনের অর্থ আত্মসাৎ
চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মৃত কর্মচারী মোজাফফর আহমেদের পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের একটি টিম বিদ্যুৎ অফিসে অভিযান চালায়। নথিপত্র পর্যালোচনা করে মৃত র্কমচারীর পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পান। মোজাফফর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা।
অভিযান চালানো দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বলেন, মৃত মোজাফফর বিদ্যুৎ বিভাগে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট নাবাক ইমাম উদ্দিনের নামে একটি জাল পাওয়ার অব অ্যর্টর্নি তৈরি করে পেনশনের ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার সত্যতা পেয়েছি।
দুদক চট্টগ্রাম-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুদকের এনর্ফোসমন্টে অভিযান পরিচালনা করে মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত জালিয়াতি করে নমিনি কর্তৃক এক অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রকে টাকা উত্তোলনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু রেকর্ডপত্রাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযান টিম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।