মাগুরার ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আমরা আমাদের বোনকে যেভাবে হারিয়েছি; এটি পুরো দেশের জন্য লজ্জার। যারা এই ঘটনায় দায়ী অবিলম্বে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটির পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সারজিস আলম আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো বোনকে আমরা এভাবে হারাতে চাই না। ধর্ষণ নামের নৃশংসতাকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

এ সময় সিএমএইচে নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক প্রমুখ।

এদিকে এনসিপির দুই নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ এ ঘটনায় ফেসবুকেও তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একই স্ট্যাটাসে শেয়ার করেছেন দুজন। তারা লিখেছেন, ‘আমাদের বোন আর নেই। তার ধর্ষণের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্ষকদের শাস্তির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। বিচারহীনতা, বিচারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং দীর্ঘসূত্রতা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে যে ধ্বংসাবশেষ জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, শিশুটির ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মাধ্যমে সেই বিচার ব্যবস্থা আবার জেগে উঠুক। পুরো বাংলাদেশ বোনটির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত।’

প্রসঙ্গত, রাজধানীর সিএমএইচ থেকে শিশুটির মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। আজ সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরারে নোমানী ময়দানে শিশুটির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়িতে ফিরছে তার নিথর দেহ

ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত শিশুটির নিথর দেহ মাগুরায় তার গ্রামের বাড়িতে ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মাগুরা স্টেডিয়ামে পৌঁছে তার মরদেহ।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে রওনা হয়। স্টে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেওয়া হচ্ছে গ্রামের বাড়িতে। আজ রাতেই নোমানী ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। গতকাল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ও বৃহস্পতিবার আরও দু‘বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ) হয় শিশুটির। 

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। 

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাড়িতে ফিরল তার নিথর দেহ
  • সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় শিশুটির মরদেহ, জানাজা সম্পন্ন
  • বাড়িতে ফিরছে তার নিথর দেহ
  • মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ে শেষ করা হবে: আইজিপি
  • মাগুরার সেই শিশুটি কি অভিশাপ দিয়েছিল
  • মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মামলাটি দ্রুত শেষ করা হবে: আইজিপি
  • মাগুরার শিশুটির অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’
  • মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, দোয়া চেয়েছে সেনাবাহিনী
  • মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, এক দিনে চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’