অবশেষে রোয়াংছড়ির প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা
Published: 13th, March 2025 GMT
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শ্রমিক জামাল হোসেনকে (২৬) আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার কিশোরীর ভাই রোয়াংছড়ি থানায় এই মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওই কিশোরী আজ দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের মামলাসহ মোট তিনটি মামলা রয়েছে বলে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার পাড়ার কার্বারিসহ (পাড়াপ্রধান) কয়েকজন ব্যক্তি কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার সামাজিকভাবে বিচার করেন। বিচারে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কার্বারির সামাজিক বিচারের কারণে অভিযুক্ত জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি ছিলেন না কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। এ জন্য গতকাল বুধবার কোনো মামলা হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে পাড়ার শ্মশানঘাটে যায়। সেখানে একা পেয়ে জামাল হোসেন তাকে টেনেহিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে যান। ধর্ষণের চেষ্টার সময় কিশোরীর চিৎকার শুনতে পেয়ে লোকজন এগিয়ে গেলে জামাল হোসেন পালিয়ে যান। পরের দিন সকালে জামাল হোসেন ফিরে এলে গ্রামবাসী তাঁকে আটক করেন।
নারী অধিকার নেত্রী ডনাইপ্রু নেলী বলেছেন, একজন প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের মতো বিষয়ে মামলা না হওয়ার বিষয়টি তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন। এ জন্য ওই পাড়ায় গিয়েছিলেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁরা মামলা করতে রাজি হন।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযুক্ত ধর্ষক স্কুলছাত্র মোহাম্মদ (১৫) রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়িতে শিশু যত্ন কেন্দ্র রয়েছে। গত রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে ওই বাড়িতে ছোট ভাই-বোনকে রেখে আসতে যায় নির্যাতিত শিশুটি। এ সময় মোহাম্মদ আলী শিশুটিকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একই দিন বিকেলে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
ভুক্তভোগীর বাবা বাড়িতে না থাকায় পরের দিন সোমবার পরিবারের স্বজনেরা শিশুকে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ডা. রায়হান খন্দকার জানান, বর্তমানে শিশুটি আশংকামুক্ত। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/অদিত্য/টিপু